শুরুর দিকে WhatsApp মূলত ব্যবহার করা হত বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ রাখতে, জরুরি প্রয়োজনে নানাবিধ প্রয়োজনীয় তথ্য শেয়ার করার জন্য বা পরিবারের মানুষের সাথে যোগাযোগ রাখতে। কিন্তু বর্তমানে WhatsApp শুধুমাত্র বন্ধু/পরিবারের মানুষের সাথে যোগাযোগের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, WhatsApp এখন ব্যবসায়িক ক্ষেত্রেও যোগাযোগের জন্য ব্যবহার করা হয়। WhatsApp অনেক গুরুত্বপূর্ন তথ্য বা অত্যন্ত ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করা হয়ে থাকে। আর আমাদের প্রত্যেক মানুষের কিছু ব্যক্তিগত ও গোপনীয়তা থাকে। এখন WhatsApp-এর মাধ্যমে পাঠানো আপনার কিছু ব্যক্তিগত বা গোপনীয় মেসেজ,ফাইল,ছবি বা ভিডিও যদি কোন তৃতীয় ব্যক্তি দেখে নেয়, তাহলে আপনি কি আর WhatsApp ব্যবহার করবেন? নিশ্চয় নয়! এজন্য মূলত WhatsApp এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন তৈরী করেছে, যাতে আপনার শেয়ারকৃত তথ্য গোপন ও নিরাপদ থাকে। এবং আপনার শেয়ার করা তথ্য আপনি এবং প্রাপ্যক ছাড়া অন্য কোন তৃতীয় ব্যক্তি সেটি দেখতে না পারে, এমন কি WhatsApp কতৃপক্ষও নয়।
আরও পড়ুনঃ
এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন কি?
এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন হল WhatsApp শেয়ার করা আপনার তথ্য গুলো গোপনও নিরাপদ রাখার একটি মাধ্যম। উধারণ সরুপঃ ধরুন আপনি আপনার কোন এক বন্ধুকে “হ্যালো” লিখে একটি মেসেজ পাঠালেন, WhatsApp এ এই (হ্যালো) মেসেজটি এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন-এর মাধ্যমে কনভার্ট হয়ে একটি কোডিং ভাষায় সংরক্ষিত হয় এবং যখন মেসেজটি আপনার বন্ধুর কাছে গিয়ে পৌছায় তখন সেটি পুনরায় কনভার্ট হয়ে (হ্যালো) দেখায়। কোডিং এর মাধ্যকে ডাটা সংরক্ষণ হওয়ায় আপনার শেয়ার করা মেসেজ,ভয়েস,কল,ফাইল,ছবি বা ভিডিও কোন কিছুই কোন তৃতীয় ব্যক্তি পড়তে, শুনতে বা দেখতে পারে না। এটি এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশনের মাধ্যমে অটোমেটিক্যালি হয়ে থাকে। যার ফলে WhatsApp আপনার শেয়ার কারা তথ্য (মেসেজ,ভয়েস,কল,ফাইল,ছবি বা ভিডিও) সবকিছুই গোপন ও সুরক্ষিত থাকে।
WhatsApp-এর এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন এর সুবিধাওঅসুবিধা
আমরা অনেকেই হয়ত মনে করে থাকি যে,WhatsApp-এর এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন আমাদের WhatsApp-এ আলাদা ফিচার বা সুযোগ সুবিধা যুক্ত করে থাকে। আসলে বিষয়টা সে রকম নয়,WhatsApp-এর এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন আপনার প্রেরিত মেসেজের নিরপত্তা দিয়ে থাকে।
WhatsApp-এর এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন এর মাধ্যমে আমাদের শেয়ার করা ডাটা ও মেসেজ সংরক্ষিত ও গোপন থাকে। যার ফলে আমরা যে কোন তথ্য নিশ্চিন্তে, নির্ভয়ে WhatsApp-এর মাধ্যমে আদান প্রদান করতে পারি।
আর অসুবিধা হল WhatsApp-এর এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন মাধ্যমে আমাদের সকল মেসেজ, ছবি, কল, ভয়েস, ভিডিও সব কিছুই গোপন থাকে। অন্য কোন তৃতীয় ব্যক্তি সেটা দেখতে পারে না। সুতরাং, এই সুবিধাটার অপব্যবহার-ই মূলত অসুবিধা। কেননা, আমাদের ফোন থেকে পাঠানো মেসেজের ডাটা বা কল বিশেষ প্রয়োজনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চাইলে সহজে ট্রেস করতে পারে। কিন্তু WhatsApp থেকে প্ররিত তথ্য (মেসেজ,ভয়েস,কল,ফাইল,ছবি বা ভিডিও) চাইলেই ট্রেস করতে পারে না। কেননা, WhatsApp-এর এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন ফলে WhatsApp ও সেই তথ্য (মেসেজ,ভয়েস,কল,ফাইল,ছবি বা ভিডিও) দেখতে পারে না। আর তাছাড়া WhatsApp এর প্রাইভেসি পলিসি অনুযায়ী খুব সহজেই WhatsApp ব্যবহারকারীর কোন ডাটা কোন কাউকেই শেয়ার করে না।
আপনার WhatsApp-এ এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন আছে কিনা কিভাবে চেক করবেন!!
WhatsApp-এ এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন আছে কিনা সেটা চেক করা খুবই সহজ। আপনি WhatsApp অ্যাপ্লিকেশনটি ওপেন করুন। যে কোন একটি কনভারশন ওপেন করুন এবং ৃএকদম শুরুতে যে মেসেজ পাঠিয়েছিলেন সেখানে চলে যান অথবা আপনি যদি কাউকে WhatsApp মাধ্যমে কাউকে প্রথম কোন মেসেজ পাঠান তাহলে নিচের চিত্রের মত WhatsApp-এ এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন একটি মেসেজ দেখতে পাবেন।
যদি আপনার WhatsApp-এ এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন থাকে। এখন সকল আপডেট ভার্সনের WhatsApp অ্যাপ্লিকেশনে WhatsApp-এ এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন থাকে। যদি আপনার WhatsApp তাহলে বুঝবেন আপনার আপনার ব্যবহৃত WhatsApp অ্যাপ্লিকেশনটি পুরাতন ভার্সনের। আপনার ব্যবহৃত WhatsApp অ্যাপ্লিকেশনটি গুগল প্লে স্টোর থেকে আপডেট করে নিন। তাহলেই আপনার WhatsApp-এ এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন চালু হয়ে যাবে।
শুধু WhatsApp যে কোন অ্যাপ্লিকেশ/সফট্ওয়্যার আপডেট ভার্সন ব্যবহার করাই উত্তম। সকল আপডেট ভার্সনে কোন না কোন এক্সট্রা সুবিধা থাকে। আমি সবসময় আপডেট ভার্সনের অ্যাপ্লিকেশ/সফট্ওয়্যার ব্যবহার করি। আমার ব্যবহৃত কোন অ্যাপ্লিকেশ/সফট্ওয়্যার-এর আপডেট ভার্সন বাজারে আসার সাথে সাথে আমি সেই অ্যাপ্লিকেশ/সফট্ওয়্যারটি আপডেট করে নিই।
হোয়াটসঅ্যাপ এনক্রিপশন সম্পর্কে দুর্দান্ত পোস্ট। এই পোস্টটি সত্যিই সহায়ক। ধন্যবাদ