আমরা আমাদের প্রতিদিনের কাজের জন্য বিভিন্ন ধরনের সফটওয়ার ব্যবহার করে থাকে। এই সব সফটওয়ার গুলোতে কিছু সাধারন শর্ট-কাট (Short-Cut) থাকে যা আপনার কাজের গতিকে বৃদ্ধি করতে অনেক বেশি সাহায্য করে থাকে।
অন্য অন্য সফটওয়ারের মতই আপনার কম্পিউটারের অপারেটিং সিষ্টেমেও কিছু শর্ট-কাট (Short-Cut) আছে যা আপনার কম্পিউটারের ব্যবহারের গতি বৃদ্ধিতে অনেক বেশি সাহায্য করে। আপনি যদি Windows ব্যবহার করে থাকেন তাহলেই এই শর্ট-কাট আপনার কাজে আসতে পারেন। আর যদি আপনি Linux বা IOS ব্যবহারকারি হয়ে থাকেন তাহলে এই গুলো কাজ নাও করতে পারেন।
ভিন্ন ভিন্ন সফটওয়ারের ভিন্ন ভিন্ন শর্টকাট। যেমন আডবি ফোটোসপে আপনি P ক্লিক করলেই Pen Tools আনতে পারবেন আবার Ctrl + + ক্লিক করে আপনার ছবি বড় করতে পারবেন সুবিধা মত ইত্যাদি কাজ করা যাই শর্টকাটের ফলে খুব তাড়াতাড়ি। আবার কিছু Short-Cut আছে যেগুলো সব ধরনেই সফটওয়ারেই কাজ করে থাকে।
কেন শর্ট-কাট ব্যবহার করবো?
এইটি নির্ভর করে আপনার কাজের উপর। আপনি যদি ফোটোশপ নিয়ে কাজ করেন তখন আপনাকে মাউস খুব বেশি ব্যবহার করেতে হয়। আবার আপনি যদি মাইকোসফট ওয়ার্ড ব্যবহার করেন তখন তেমন ব্যবহার করতে হয় না। আপনার টাইপিং স্পীডের উপর নির্ভর করে আপনার কাজের গতি।
তাই কোন প্রয়োজনে কী-বোর্ড ছেড়ে মাউস ধরলে আর এমন বার বার করতে থাকলে কাজের গতিতে প্রভাব ফেলে। এই ক্ষেতে আপনার কী-বোর্ডের উপর যত বেশি দক্ষতা থাকবে তত বেশি আপনি কাজ করতে পারবেন। তাই কী-বোর্ড দক্ষতার জন্য এই শর্ট কাট গুলো বেশ সাহায্যই করে থাকে।
আবার আপনি যদি কোন চাকরির জন্য যান। তারা আপনার দক্ষতার বাছায়ের জন্য আপনাকে এই সব কী-বোর্ডের শর্টকাট প্রশ্ন করতে পারে।
আমরা আজকেই এই শর্ট-কাট গুলো নিয়েই আলোচনা করবো।
Windows এর উপকারী কিছু শর্ট-কাট
- Windows Key + E: এই শর্ট-কাট ব্যবহার করে আপনি খুব সহজের আপনার ফাইল এক্সপোল্লার বেড় করতে পারেন । যে যাইগাই আপনার সকল ফাইল পেয়ে যাবেন যা আপনি খুব অল্প সময়ের আগেই ব্যবহার করেছে।
- এই অপশনটি ব্যবহার করা হয় যখন আপনি আপনার কোন ফাইল হঠাথ করে হারিয়ে ফেলেন বা ভুলে যান আপনি ফাইলটি কোথাই রেখেছিলেন। এই অপশন ব্যবহারের ফলে তা খুজে পাওয়া যায়।
- ALT + Tab: আপনার যদি অনেক গুলো WINDOWS ওপেন রাখতে হয় কাজের সময় তখন এই শর্ট কাট ব্যবহার করে খুব তাড়াতাড়ি অন্য WINDOWS চলে যাওয়া যাই।
আমরা দেখেছে যখন অনেক WINDOWS ওপেন করে কাজ করতে হয় তখন একটা একটা করে ওপেন করাটা অনেক সময়ের ব্যপার। তাই এই সময়ের আরো তাড়াতাড়ি কাজের জন্যই এই শর্ট কাটি বেশ জনপ্রিয়।
- Windows Key + Up Arrow: আপনি যদি কোন WINDOWS ছোট করে রাখেন এবং এই শর্ট কাট ব্যবহার করেন দেখবেন আপনার কম্পিউটারের ওই WINDOWS ছোট থেকে বড় হয়ে গেছে।
- Ctrl +shift + Esc: এই শর্ট কাট দ্বারা আপনার কম্পিউটারের টাক্স মেনেজার (Task Manager) ওপেন করা যায়।
টাক্স মেনেজার তেমন ব্যবহার করতে দেখা যাই না যতক্ষন পযন্ত না কম্পিউটারের কোন সফটওয়ার ফ্রীজ বা হ্যাং না করে। এই বাহিয়ের এই অপশনটি আরো বেশ কিছু কাজ রয়েছে।
আপনি যখন এই অপশনটি প্রথম ওপেন করবেন তখন দেখতে পারবেন ছোট একটি WINDOWS বা মেডিয়াম একটি WINDOWS।
যদি ছোট হয়ে আসে তখন আপনি দেখতে পারবেন কিছু সফটওয়ারের লোগো। এই সফটওয়ার গুলো আপনার কম্পিউটারে ওপেন আছে বা আপনি ব্যবহার করছেন।
আর যদি মেডিয়াম সাইজে থাকে তাহলে দেখতে পাবেন যে অনেক গুলো সফটওয়ার আপনার কম্পিউটারে চলছে যা আপনি জানেনও না। এই অতিরিক্ত সফটওয়ার গুলোই আপনার কম্পিউটারে ফ্রীজিং বা হ্যাং করেতে বিশেষ ভুমিকা রাখে।
আরো পড়ুনঃ Home Theater Bangladesh
তা সাথে আরো থাকে, আপনি যেই সব সফটওয়ার ব্যবহার করছে তা কি পরিমানের প্রসেসর, রেম, মেমোরি ব্যবহার করেছন তা দেখাবে। কোন সফটওয়ার বেশি ব্যবহার করে আর কোনটি কম তা সহজেই বুঝতে পারবেন। আরো দকেহতে পারবেন কোন সফটওয়ার কেমন পাওয়ার বা বিদ্যুৎ ব্যবহার করে।
আবার Processes এর পাশের অপশন Performance এ গেলে আপনি দেখতে পারবেন আপনার কম্পিউটার কি পরিমানের প্রসেসর, রেম মেমোরি, গ্রাফিক্স ইত্যাদি ব্যবহার করে তার সর্ব্বোচ্চ পরিমান।
যদি আপনার কাজের মধ্যে অনেক বেশি হ্যাং হয়ে থাকে তাহলে এই অপশনটিতে গেলে আপনি দেখবেন আপনার মেমোরি ১০০% ব্যবহার হচ্ছে। মেমোরি যখন ১০০% ব্যবহার করে তখন কম্পিউটারের হ্যাং হয়ে থাকে। আপনি চাইলে SSD ব্যবহার করে এই সমস্যার সমাধান করতে পারেন।
Task Manager হচ্ছে আপনার কম্পিউটারের একটি মনিটরিং সিষ্টেম। এর মাধ্যমে আপনি সকল সফটওয়ারের শক্তি, ব্যবহার ইত্যাদি দেখতে পারবেন।
আরো পড়ুন SSD Price in Bangladesh
- Windows Key + Break: এই শর্টকাট দিয়ে আপনি আপনার কম্পিউটারের সেটিং এ চলে যেতে পারবেন । এটি একটি শর্টকার যখন আপনি ব্যবহার করবেন যখন আপনার কম্পিউটারের সেটিং পরিবর্তন করতে হয়।
- Windows Key + D: এটি ব্যবহার করে আমরা এক ক্লিকেই যেকোন WINDOWS থেকে খুব সহজেই ডিসপ্লেতে চলে আসতে পারি।
ধরুন আপনার অনেক গুলো WINDOWS ওপেন আছে আর এখন আপনি আপনার ডিসপ্লেতে যেতে চাচ্ছেন। এখন আপনাকে একটি একটি করে WINDOWS মিনিমাইস করতে হবে। এজন্য আমাদের এই শর্ট কাট। আপনি চাইলেই আপনার Tashbar এর সময় এবং তারিখের পাশের নোটিফিকেশন অপশনের পাশেই ক্লিক করে চলে যেতে পারেন আবার এই শর্ট কাটও ব্যবহার করতে পারেন।
- Alt+ Esc: উপরের Hypothetical অবস্তা থেকে যদি আপনি এই বার অন্য কোন WINDOWS আসতে চান এক এক করে তাহলেই এটি আপনার সময় নষ্ট করবে। সময় বাচানোর জন্য হলেও আপনি এই শর্ট কাটি ব্যবহার করতে পারেন। এটি ব্যবহারের ফলে খুব তাড়াতাড়ি একটি হতে অন্য একটিতে চলে যাওয়া যাই।
- Alt+ any Letter: এইটি হছে আরো একটি ভালো শর্ট কাট। যেই সফটওয়ারে আপনি বর্তমানে কাজ করছেন ওই সফটওয়ারের মধ্যে যেকোন অপশনের যাওয়ার জন্য এর চেয়ে ভালো কোন কী হতেই পারে না।
- Alt ক্লিক করে যে কোন একটি লেটার বা অক্ষর ক্লিক করুন আপনার কী-বোর্ড থেকে তখন দেখতে পারবেন আপনার কম্পিউটারের রানিং সফটওয়ারের অপশন গুলোতে ছোট করে লেটার দেখাছে। এই লেটার গুলোতে ক্লিক করলেই ওই অপশনটি ওপেন হবে।
- Ctrl + F4: যে কোন সফটওয়ার বন্ধ করার জন্য এই শর্ট কাট ব্যবহার করা হয়। আমরা এখন কোন সফটওয়ার ব্যবহার করার পর যখন এটি বন্ধ করতে যাই। আমরা সাধারনত উপরের কর্স চিহ্ন দ্বারা বন্ধ করে থাকি।
- WINDOWS Key + M: এই শর্ট কাট দিয়ে আপনি আমরা কাজ করা WINDOWS মিনিমাইস করে ফেলতে পারেবেন। এই ফলে আপনাকে আর মাউস দিয়ে মিনিমাইস করার ঝামেলা করতে হবে না। আমরা একটি WINDOWS থেকে আরটিতে যেতে বেশির ভাগ সময়ই মিনিমাইস অপশনটা ব্যবহার করে থাকে। তাই এর শর্ট কাট আপনার দরকার পরবে ঘন ঘন।
শেষকথা,
এই পদ্ধতি সব গুলো আপনার কাজে নাও আসতে পাবে আবার একটিও কাজে আসতে নাও বা পারে। যদি কাজে আসে এই উদ্দেশ্যেই আমাদের এই পোষ্ট বানানো। এই সব শর্টকাটের বাহিহেও আরো রয়েছে। যা আমাদের অনেক বেশি উপকার করে থাকে। ওই সব সর্ম্পকে আমরা আরো জানবো আগামিতে। আপনি চাইলেই অন্য সোর্স হতে খুজেও দেখতে পারেন।
আর্টিকেলটি শেয়ার করেছেনর @BD Tech