লোডশেডিং শিডিউল ঢাকা, ঢাকার মধ্যে কোন এলাকায় কখন লোডশেডিং হবে তার একটি শিডিউল ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী (ডিপিডিসি)। ঢাকার মধ্যে ৩৬টি এলাকায় বিভিক্ত করে আলাদা আলাদা ভাবে লোডশেডিং শিডিউল প্রকাশ করেছে কোম্পনীটি। এসব এলাকা দিনে ১ থেকে দেড় ঘন্টা, কোন কোন এলাকায় ২ ঘন্টা পর্যন্ত লোডশেডিং হতে পারে।
বর্তমান সরকারের আদৌলতে এখন বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষতা বৃদ্ধির সাথে সাথে শতভাগ বিদ্যুতায়ণ সম্ভব হয়েছে।বর্তমানে আমরা তো লোডশেডিং এর কথা প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম। কেননা, বিদ্যুৎ চলে গেলেই লোডশেডিং নয়।
লোডশেডিং কি?
লোডশেডিং হল চাহিদার বিপরীতে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ডিস্ট্রিবিউশন এর একটি প্রক্রিয়া। ভালভাবে বুঝতে একটি উধাহরণ দেই, ধরুন আপনি আপনার জন্মদিন উপলক্ষে ৫০ জনকে দওয়াত দিলেন একটি ভাল রেস্টুরেন্ট থেকে ৫০ প্যাকেট খাবার অর্ডার করে নিয়ে আসলেন তাদের কে খাওয়ানোর জন্য। কিন্তু অনুষ্ঠানের সময় দেখলেন যে, প্রায় প্রত্যেকে সাথে একজন করে গেস্ট নিয়ে এসেছেন। কিন্তু এই মুহূর্তে আপনার এমন বাজেট নেই যে, রেস্টুরেন্ট থেকে নতুন করে আরও ৫০ প্যাকেট খাবার নিয়ে আসবেন। এমতাবস্থায় আপনি কি করলেন ওই ৫০ প্যাকেট খাবার সবাইকে ভাগ করে দিলেন। এতে কি হল আপনার জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আসা কোন গেষ্টকে না খেয়ে যেতে হল না। তবে, যে অসুবিধাটা হল, সেটা হল কেউ তৃপ্তি নিয়ে খেতে পারল না।
লোডশেডিং টাও ঠিক এরকম। উৎপাদিত বিদ্যুৎ চাহিদার তুলনায় কম হলে, শিডিউল অনুযায়ী কিছু কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা হয়।
বর্তমানে চাহিদা অনুযায়ী আমাদের দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা থাকা সত্বেও লোডশেডিং এর কবলে পড়তে যাচ্ছি। এর কারন হল জ্বালনী সংকট। আমরা সবাই জানি, বর্তমার বিশ্ব এখন জ্বালানী সংকটে হাহাকার করছে। এবং হু হু করে বাড়ছে জ্বালানীর বাজার। কবে নাগাদ এই সংকট কাটবে তা প্রায় অনিশ্চিত। তাই, বর্তমান বাংলাদেশ সরকার বিশ্বের এই পরিস্থির কথা চিন্তা করে জ্বালানী সংকট এড়াতে এবং জ্বালানী সাশ্রয়ের জন্য কিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এবং এলাকা ভিত্তিক লোডশেডিং এর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
লোডশেডিং শিডিউল ঢাকা PDF সহ
ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী ঢাকার মধ্যে ৩৬ টি এলাকা ভাগ করে লোডশেডিং এর শিডিউল ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছেন। এলাকা গুলো হলঃ
- আদাবর
- আজিমপুর
- বনশ্রী
- বাংলাবাজার
- বংশাল
- বাসাবো
- ডেমরা
- ধানমন্ডি
- ফতুল্লা
- জিগাতলা
- জুরাইন
- কাকরাইল
- কামরাঙ্গীরচর
- কাজলা
- খিলগাঁও
- লালবাগ
- মানিকনগর
- মাতুয়াইল
- মগবাজার
- মতিঝিল
- মগদাপাড়া
- নারায়ণগঞ্জ (পূর্ব)
- নারায়ণগঞ্জ (পশ্চিম)
- নারিন্দা
- পরীবাগ
- পোস্তগোলা
- রাজারবাগ
- রমনা
- সাতমসজিদ
- শ্যামলি
- শেরেবাংলা নগর
- শ্যামপুর
- শিদ্ধিরগঞ্জ
- শীতলক্ষ্যা
- স্বামীবাগ
- তেজগাঁও
এলাকা ভিত্তিক লোডশেডিং এর শিডিউল | কোন এলাকায় কতক্ষণ লোডশেডিং থাকবে
ঢাকার মধ্যে লোডশেডিং শিডিউল এর জন্য যে এরিয়াগুলোতে বিভগ্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কয়েকটি উপকেন্দ্র। শিডিউল অনুযায়ী একেক উপকেন্দ্রে ১ ঘন্টা করে লোডশেডিং থাকবে।