আমাদের অতি পরিচয় এবং এন্ড্রোয়েড এর পর সবচেয়ে জনপ্রিয় মোবাইলটি হচ্ছে আইফোন।আমাদের সমাজে যাদের একটু অর্থ বেশি রয়েছে তারাই কেবল এই স্বপ্নের আইফোন ব্যবহার করতে পারি।আর এই ফোনকে নিয়ে আমাদের রয়েছে যত শখ আহ্লাদ। আমারা আমাদের এই ফোনকে নিজেদের মতো করে সাজিয়ে নিতে চাই।কিন্তু আমরা যারা আইফোন ব্যাবহার করি না অর্থাৎ যারা নতুন নতুন কেবল আইফোন হাতে নিয়েছি তারা আইফোনটিকে কাস্টমাইজ করে নিতে পারি না।আইফোন কাস্টমাইজ করতে হলে আমাদের কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।কোন কোন বিষয় আমরা আমাদের আইফোনে কাস্টমাইজ করতে চাই বা করা যায় সেগুলোও জানা আমাদের উচিত। কেননা আমরা যদি না-ই জানি যে আইফোনে কি কি কাস্টমাইজ করে চালানো যায় তবে কিভাবে আমরা আমাদের আইফোনের না-না সিটিংস নিজের ইচ্ছা মত করে কাস্টমাইজড করে চালাব।
আজকের এই পোস্ট এর টাইটেল দেখেই বন্ধুরা হয়তো বুঝে গেছেন যে আজকের পোস্টটি কি নিয়ে।হ্যা! বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব যে কিভাবে আমরা আমাদের ব্যাবহৃত আইফোনটিকে কাস্টিমাইজ করে চালাতে পারি।নিজের ইচ্ছা মতো করে যেকোনো ফিচার কাস্টিমাইজ করতে কি কি দরকার আমাদের সেসব কিছু আজকে আমরা এই পোস্টে দেখব।তো বন্ধুরা আর দেড়ি না করে চলুন শুরু করা যাক আজকের ব্লগটি।
আইফোনের এপ আইকন কাস্টমাইজ করি-
প্রথমেই আমরা দেখে নিব যে কিভাবে আমরা আমাদের আইফোনের এপ গুলোর আইকন গুলোকে কাস্টমাইজ করে নিতে পারি।আমরা আগে যে নোকিয়া মোবাইল ব্যবহার করতাম ঠিক তেমন করেই আইকন গুলোকে চেঞ্জ করে কাস্টমাইজ করা যাবে।এর জন্য প্রথমে এই লিংক এ ঢুকে যাই।এরপর আমরা এখানে নানা অপশন দেখতে পারব।এখান থেকে আমরা ইচ্ছা মতো করে আমাদের আইফোন Customize করে নিতে পারি। তো প্রথমে আমাদের এপ এর আইকন Customize চেঞ্জ করার জন্য “Add to Home Screen” এ ক্লিক করে নেই। এইবার এখান থেকে আমরা ইচ্ছামত যেকোনো একটি এপ Customize করে চালিয়ে নিতে পারি।
শুধু তাই নয় আমরা এখানে নানা ভাবে নানা ফিচার Customize করে নিয়ে চালাতে পারি।তাই উপরের দেওয়া ওয়েবসাইটটি একটু নোট করে রাখলে আমাদের পরে অনেক উপকারে আসবে।
কনট্রোল সেন্টার Customize করি-
ISO 10 তাদের নিজের মতো করে কন্ট্রোল সেন্টারটি ডিজাইন করে থাকে।তবে আমরা এখান থেকে এটিকে কাস্টমাইজ করে নিজের মতো করে অর্থাৎ নিজের পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো ভাবে সাজিয়ে নিতে পারি। এর জন্য আমাদের ফ্লিপ কনট্রোল সেন্টারটি দরকার। এইটি গুগলে সার্চ করলেই পেয়ে যাব। তাই এই সাইট থেকে আমরা আমাদের কন্ট্রোল সেন্টারও নিজ ইচ্ছামত কাস্টমাইজ করে নিয়ে নিতে পারি। এছাড়াও আমরা যদি বার বার একটি কালা দেখেই বোরিং হয়ে থাকি আমাদের কন্ট্রোল সেন্টারে তবে আমরা সেটিকেও কাস্টমাইজ করে নিতে পারি এই FlipControlCenter এর মাধ্যমে। অঅর্থাৎ আমরা এখান থেকে আমাদের ইচ্ছা অনুযায়ী যেকোনো কালার ব্যবহার করে চালিয়ে নিতে পারি।এইখান থেকে আমরা কাস্টমাইজ করে RGB কালার ব্যাবহার করে নিজের মতো করেও চেঞ্জ করে নিতে পারি।নিচের স্ক্রিনশটে আমি দেখিয়ে দিলাম যে আমরা কিভাবে এইটি ব্যাবহার করতে পারি।
পাওয়ার মেনুকে কাস্টমাইজ করা-
এতোক্ষন আমরা দেখে নিলাম কিভাবে আমরা আমাদের কন্ট্রোল সেন্টারটিকে কাস্টমাইজ করতে পারি।বন্ধুরা এখন আমি আপনাদের দেখাব যে কিভাবে আমরা আমাদের পাওয়ার মেনুকে কাস্টমাইজ করে চালাতে পারি। অর্থাৎ আমরা আমাদের পাওয়ার বাটনে ক্লিক করলে যেসব নতুন ফিচার কাস্টমাইজ করে নিয়ে নিতে পারব।এর জন্য আমাদের প্রথমে jailbreak tweak নামের অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে।এবার আমরা এখান থেকে খুজে বের করে পাওয়ার বাটনটি কাস্টমাইজড করে নিতে পারব।আপনি চাইলে এখানে “PowerDown“ অপশন সহ আরো Reboot, Respring এর অপশন গুলো এড করে নিতে পারেন। আমি নিচে একটি স্ক্রীনশট দিয়ে দিচ্ছি এইটি খেয়াল রেখে আমরা এটিকে নিজ ইচ্ছামত কাস্টমাইজ করে নিতে পারব।
উপভোগ করি আইফোন কাস্টমাইজড –
এতোক্ষন আমরা দেখে নিলাম আমরা কিভাবে আমাদের আইফোনের ফিচার গুলোকে ইচ্ছামত কাস্টমাইজ করে নিতে পারি। যেগুলো আমাদের ব্যাবহৃত আইফোনটিকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলবে এবং আমরা আমাদের বন্ধুদের মাঝে সেরা হয়ে থাকব । তো বন্ধুরা আশা করি উপরের পদ্ধতি গুলো ঠিকঠাক ভাবে অনুসরণ করলেই আপনি সঠিক ভাবে এই কাজটি করতে পারেন।এখন থেকে আশা করি আর নিজের আইফোন নিজের মতো করে কাস্টমাইজড করা নিয়ে কোনো ঝামেলায় পরতে হবে না।আজ এই পর্যন্ত-ই।আবার অন্য একদিন কথা হবে অন্য কোনো বিষয় নিয়ে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন।