আমাদের বিশ্বটা এই করোনা কালে অনেকটা প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে গিয়েছে। আমরা বেশিরভাগ সময় ই ব্যায় করি এই প্রযুক্তি নিয়ে। বিনোদন সহ সব দরকারি কাজ আমরা করে থাকি এই প্রযুক্তি ব্যাবহার করে।আমাদের এই সময়ে ব্যাবসা বানিজ্যর অনেকটা অনলাইন ভিত্তিক হয়ে উঠেছে।সেই সুত্রে আমরা যারা অনলাইনে ব্যাবসা করে থাকি তাদের একটি করে অবশ্যই ওয়েবসাইট রয়েছে।আর এই ওয়েবসাইট যত বেশি গ্রো করবে তত বেশি আমাদের কেনা-বেচা বেড়ে যাবে।আমরা রিয়েল লাইফে যেমন কেনা-বেচার জন্য প্লাটফর্ম হিসেবে ব্যাবহার করে থাকি মার্কেট।ঠিক তেমনি ভাবে ভার্চুয়ালে কেনাবেচার প্লাটফর্মটি হলো ওয়েবসাইট। এখানে যার ওয়েবসাইটের ভিজিটর বেশি সেটিই বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এর জন্য আমাদের ওয়েবসাইট গুগলের টপ লিস্টে আনা প্রয়োজন।অর্থাৎ কেউ সার্চ করলেই যেনো আমাদের ওয়েবসাইটটি সবার প্রথমে চলে এসে পরে।
আজকের এই পোস্ট এর টাইটেল দেখেই বন্ধুরা হয়তো বুঝে গেছেন যে আজকের পোস্টটি কি নিয়ে।হ্যা! বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব যে কিভাবে আমরা আমাদের ওয়েবসাইটটিকে গুগলের সার্চ লিস্টে টপ সেকশনে আনতে পারি।তো আর বেশি কথা না বলে আসুন শুরু করা যাক।
ফ্লো-চার্ট আকারে দেখি-
যখন কোনো ব্যাবহারকারী গুগল কে কোনো কিছু জিজ্ঞাসা করে তখন গুগল চেষ্টা করে ব্যাবহারকারীর প্রশ্ন অনুযায়ী উত্তর দেওয়ার। স্নিপেট ব্লগ ফিচার হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইট টিকে এই সার্চলিস্ট এর প্রথম দিকে তুলে ধরা।
ধরুন ব্যাবহারকারী সার্চ দিলো “the rules of cricket ” এইখানে এই টপিক অনুযায়ী হাজার হাজার ওয়েবসাইট রয়েছে গুগলে এর উপর লিখা।এখন কথা হচ্ছে গুগল কোন ওয়েবসাইট টিকে প্রথম দিকে শো করাবে??যে ওয়েবসাইটের মার্কেটিং সেন্স বেশি এবং স্নিপেট জড়ালো সেই ওয়েবসাইট টিকেই গুগল সার্চ লিস্টের প্রথম দিকে তুলে ধরবে। অর্থাৎ গুগলে কোনো কিছু সার্চ করে সেটি সার্চ লিস্টের প্রথমদিকে পাওয়াই হচ্ছে সিও স্নিপেট ফিচার। আমরা এখন দেখব যে কিভাবে আমাদের ওয়েবসাইটের সিস্টেম সাজিয়ে নিতে পারি।
উপরের ছবিটা খেয়াল করলে আমরা দেখতে পাই যে আমরা গুগলে কোনো কিছু সার্চ দিলে এইভাবে দেখতে পাই।প্রথমে থাকে বিজ্ঞাপন কোনো কোম্পানির,এরপর থাকে ম্যাপ প্যাক অর্থাৎ স্থানের বর্ননা এবং অবশেষে রেগুলার অর্গানিক রেজাল্ট সমূহ যেগুলো কিনা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমাদের জন্য।
আমাদের আরো যেদিক খেয়াল রাখতে হবে-
এখানে কিছু জিনিস রয়েছে যেগুলোকে আমরা টার্গেট করে আমাদের ওয়েব এর ভিউ বাড়াতে পারব।আমি এগুলোকে পয়েন্ট আকারে বিশ্লেষণ করছি।
১.আপনার টার্গেট কি ওয়ার্ড ঠিক করা।ধরুন আপনি ক্রিকেট সম্পর্কে একটি ব্লগ লিখলেন।এখন গুগলে কেউ ক্রিকেট সম্পর্কে জানতে চাইলে গুগল চেষ্টা করবে কোন লিখাটিতে ক্রিকেট লিখাটি সর্বোচ্চ বার রয়েছে।তাই আমাদের কোনো বিষয়ের উপর লিখতে টার্গেট ওয়ার্ডগুলো বার বার ব্যাবহার করতে হবে।
২.আপনি যে কন্টেন্ট এর উপর লিখবেন তার সার অংশ টুকু ৫০-৬০ ওয়ার্ড এ প্রথমেই বিশ্লেষণ করা।এতে করে ব্যাবহারকারীর সামনে সহজেই পরে যাবে এবং চোখে পরবে।
৩. আপনার লিখাটিতে বেশি বেশি ভিউজাল কন্টেন্ট ব্যাবহার করতে পারেন।অর্থাৎ আপনি আপনার ওয়েবসাইটের যে ব্লগটি লিখবেন সেটি সম্পর্কিত অনেক গুলো ছবি বা ভিডিও এড করার চেষ্টা করবেন।
৪.সার্চ লিস্টের প্রায় ৮৩% ই আসে HTTPS থেকে।আপনার ওয়েবসাইট টি যদি HTTPS টাইপ না হয়ে থাকে তবে এখন ই এটিকে HTTPS এ ট্রান্সফার করার চেষ্টা করুন।
৫.চেষ্টা করুন আপনার ব্লগটি সহজ লভ্য করার। অর্থাৎ সবাই যেনো এটি বুঝতে পারে এমনকি গুগল ও যেনো যেকোনো প্রশ্ন পেলে তার উত্তরে আপনার ব্লগটিই বেছে নেয় প্রথমে।এইটি একটি হাইডেন ট্রিকস।
৬.আপনার লিংক এর অথোরিটির প্রাইভেসি আরো হার্ড করে ফেলুন।যে ডোমাইন এ হোস্টিং করা সেটি যত পারেন আপগ্রেড করে নিন। এতে হবে কি আপনার ওয়েবসাইট টি আরো বেশি গ্রো করবে।
উপভোগ করি গুগল টপ লিস্ট-
তো বন্ধুরা আশা করি উপরের পদ্ধতি গুলো ঠিকঠাক ভাবে অনুসরণ করলেই আপনি সঠিক ভাবে এই কাজটি করতে পারেন।এখন থেকে আশা করি আর গুগলের সার্চ লিস্ট র্যাংক নিয়ে কোনো ঝামেলায় পরতে হবে না।আজ এই পর্যন্ত-ই।আবার অন্য একদিন কথা হবে অন্য কোনো বিষয় নিয়ে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন