আপনার ওয়েবসাইট থাকলে বিষয় গুলো অবশ্যই জানা উচিত

ইন্টারনেটের কোনো বিষয়ে কথা বললেই যেটি সবার সামনে আসে সেটি হলো ইন্টারনেটে সিকিউরিটি। আসলে আমরা কতটুকু সিকিউরিটির মধ্যে আছি? আমরা যে আমাদের সব কিছু ইন্টারনেটের উপর নির্ভর হয়ে গেছি আসলে এসব কি নিরাপদ?  এক কথায় বলতে গেলে আসলে আমরা কেউ ই নিরাপদ না ইন্টারনেট। যেকোনো সময় আমাদের যেকোনো কিছু হ্যাক বা তথ্য চুরি হয়ে যেতে পারে।যার ফলে আমাদের বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।কিন্তু এর থেকে রোধ এর উপায় যে নেই তা কিন্তু না।আমরা কিন্তু কিছু পদক্ষেপ গ্রহনের মাধ্যমে আমাদের ওয়েবসাইট বা যেকোনো কিছু হ্যাক থেকে বেচে যেতে পারি।এর জন্য প্রয়োজন হলো আরোও বেশি পরিমানে সিকিউরিটি। আমরা যত পরিমানে সিকিউরিটি দিতে পারব আমাদের ওয়েবসাইট এর তত আমরা বেচে যাব হ্যাক হওয়া থেকে।

আপনার ওয়েবসাইট থাকলে যে বিষয় গুলো অবশ্যই জানা উচিত!

আজকের এই পোস্ট এর টাইটেল দেখেই বন্ধুরা হয়তো বুঝে গেছেন যে আজকের পোস্টটি কি নিয়ে।হ্যা! বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব যে কিভাবে আমরা আমাদের ওয়েবসাইট গুলোকে আরো সিকিউর করতে পারে যাতে কোনো হ্যাকার এটাক করলেও হ্যাক না করতে পারে আমাদের ওয়েবসাইট। তো বন্ধুরা আর কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক আমাদের আজকের আর্টিকেল।

ক্রস সাইট স্ক্রিপ্ট সিকিউর-

অনেকে আমাকে প্রশ্ন করেছেন যে ক্রস সাইট স্ক্রিপ্ট আসলে কি।এটি আসলে আমাদের ওয়েবসাইটে ব্যাবহার করা HTML স্ক্রিপ্ট। আমরা এই বিষয় নিয়ে আগে পরিষ্কার হয়ে নেই।আসলে ক্রস সাইট হলো আমরা যে ওয়েবসাইট থেকে আমাদের ওয়েবসাইটে লগ-ইন করি সেই পেইজটি।এই পেইজটির মধ্যে হ্যাকার রা যদি কোনোভাবে কোনো ম্যালওয়ার ভাইরাস ঢুকিয়ে দেয় তাহলে সর্বনাশ। আমাদের পেইজ অর্থাৎ ওয়েবসাইটটি হ্যাক হয়ে যাবে। হ্যাকাররা আমাদের ওয়েবসাইট এর সব তথ্য সাথে সাথেই হাতিয়ে নিয়ে নিতে পারবে।তো এর থেকে বাচার উপায় হলো আমাদের সাইট স্ক্রিপ্ট সিকিউর করা। এর জন্য আমাদেরকে ওয়েবসাইটের কোড বানানোর সময় খেয়াল রাখতে হবে যে  কোনো জায়গায় দুর্বলতা সৃষ্টি হলো নাকি। আমাদের মেইন HTML এর কোডিং গুলো ঠিকঠাক ভাবে করলে এই ঝামেলা হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।

তথ্য বাইপাস হয়ে যাওয়া- 

এইবারটিও আমাদের ওয়েবসাইট হ্যাক এর সম্ভাবনা অনেকটা বাড়িয়ে তোলে।আমাদের ওয়েবসাইট এর কোনো তথ্য যদি হ্যাকাররা সংগ্রহ করতে পারে তবে ওয়েবসাইট হ্যাক করা তাদের জন্য কিছুই না। এই পোস্ট টি যদি আপনি ইউন্ডোজ ডিভাইসে দেখে থাকেন তবে F12 তে চাপ দিলেই আপনি একটি অপশন দেখতে পাবেন।এখান থেকে আপনি এই ওয়েবসাইটের সোর্স গুলো দেখে নিতে পারবেন।এখন যদি আমরা এই সোর্স লিংক এ কোনো তথ্য খোলামেলা ভাবে রেখে দেই তবে আমাদের তথ্য বাইপাস হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়ে যায় অনেকটা। তাই আমাদের ওয়েবসাইট এর কোডিং করার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেনো আমরা কোনো আউটব্যাক সোর্স শো অন করে না রাখি।

DDOS এটাক-

DDOS এটাক টি হলো ওয়েবসাইট হ্যাক এর সবচেয়ে মারাত্মক এটাক।এসব এটাকে বলা হয়ে থাকে স্প্যামিং এটাক আমরা অনেকে ফেসবুক বা টুইটারে স্প্যামিং সম্পর্কে জানি যেগুলোতে ভুয়া রিপোর্ট করে আইডি ডিজেবল করে দেয়। ঠিক তেমনি DDOS এটাক ও অনেকটা এমন হয়ে থাকে যে আপনার ওয়েবসাইটে ভুয়া রিপোর্ট করে দুর্বল করে দেয় এরপর না-না উপায়ে হ্যাক করার ট্রাই করে থাকে।এইটি মারাত্মক এটাক হলেও যে ওয়েবসাইটে সিকিউরিটি এবং প্রাইভেসি অনেকটা হার্ড সেসব ওয়েবসাইটে বেশি কাজ করতে পারে না।

VPN ব্যাবহার করে-

আমরা অনেকেই জানি ভিপিএন সম্পর্কে। নিজ দেশে সাপোর্ট না করলে অন্য দেশের সার্ভারে ঢুকে অই কাজ সাধন করাই হচ্ছে ভিপিএন এর কাজ।ভিপিএন ব্যাবহার করে অনেক অসাধ্য কাজ ও সাধন করা যায়।এর একটি হচ্ছে ওয়েবসাইট এর একসেস নেওয়া।যেসব ওয়েবসাইটে ভিপিএন এর সিকিউরিটি নাই সেসব ওয়েবসাইটে ভিপিএন ব্যাবহার করে সহজেই একসেস নিতে পারে।তাই এক্ষেত্রে আমাদের অথোরিটিকে জানাতে হবে যে কিভাবে আমরা এটিকে প্রতিহত করতে পারি।

 

তো বন্ধুরা আশা করি উপরের পদ্ধতি গুলো ঠিকঠাক ভাবে অনুসরণ করলেই আপনি সঠিক ভাবে এই কাজটি করতে পারেন।এখন থেকে আশা করি আর ওয়েবসাইটের সিকিউরিটি  নিয়ে কোনো ঝামেলায় পরতে হবে না।আজ এই পর্যন্ত-ই। যদি কোনো সমস্যায় পরেন তবে আমাদের জানাতে ভুলবেন না। আবার অন্য একদিন কথা হবে অন্য কোনো বিষয় নিয়ে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন।

 

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top