প্রযুক্তির এই বিশ্বে আমরা সবাই একে অপরের উপর নির্ভর হয়ে রয়েছি।বাড়ছে দিন দিন প্রযুক্তি ব্যাবহার এর সংখ্যা।সেই সাথে বেড়ে চলেছে কম্পিটিশন। আমরা সবাই আছি দৌড় প্রতিযোগিতা কে কার আগে যেতে পারে।এভাবে আমরা চলছি।আর এই ইন্টারনেটের যুগে আমরা কিনা নির্ভর করে আছি অনেকটা ওয়েবসাইট এর উপর।ওয়েবসাইট নির্ভর করেই গড়ে উঠেছে এই বিশাল ইন্টারনেট জগৎ।আর এই ওয়েবসাইট গুলো মুলত তৈরি হয় ব্লগ পোস্ট দিয়ে।কে কার আগে যেতে পারে। কার ব্লগটি কত সুন্দর হতে পারে এই নিয়েই প্রতিযোগিতায় নেমেছি আমরা। এইযে আপনারা যে পড়ছেন এই পোস্ট টি এইটিও কিন্তু একটি ব্লগ পোস্ট। আমি এই পোস্ট টিকে সাজিয়েছি আমার সর্বস্ব দিয়ে যাতে এইটি সবাইকে আকর্ষন করে।যাতে সবাই অন্য সব পোস্ট রেখে আমার এই পোস্ট-ই পড়তে আসে।
আজকের এই পোস্ট এর টাইটেল দেখেই বন্ধুরা হয়তো বুঝে গেছেন যে আজকের পোস্টটি কি নিয়ে।হ্যা! বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব যে কিভাবে আমরা আমাদের ওয়েবসাইট এর ব্লগ পোস্ট ভালোবাভে সাজাতে পারি।কিভাবে আমরা আমাদের পোস্টটির রিচ বাড়াতে পারি।তো বন্ধুরা আর কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক।
ফিচার স্নিপেট কি?
যখন কোনো ব্যাবহারকারী গুগল কে কোনো কিছু জিজ্ঞাসা করে তখন গুগল চেষ্টা করে ব্যাবহারকারীর প্রশ্ন অনুযায়ী উত্তর দেওয়ার। স্নিপেট ব্লগ ফিচার হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইট টিকে এই সার্চলিস্ট এর প্রথম দিকে তুলে ধরা।
ধরুন ব্যাবহারকারী সার্চ দিলো “the rules of cricket ” এইখানে এই টপিক অনুযায়ী হাজার হাজার ওয়েবসাইট রয়েছে গুগলে এর উপর লিখা।এখন কথা হচ্ছে গুগল কোন ওয়েবসাইট টিকে প্রথম দিকে শো করাবে??যে ওয়েবসাইটের মার্কেটিং সেন্স বেশি এবং স্নিপেট জড়ালো সেই ওয়েবসাইট টিকেই গুগল সার্চ লিস্টের প্রথম দিকে তুলে ধরবে। অর্থাৎ গুগলে কোনো কিছু সার্চ করে সেটি সার্চ লিস্টের প্রথমদিকে পাওয়াই হচ্ছে সিও স্নিপেট ফিচার।
গুগল স্নিপেট সম্পর্কে কেনো জানা উচিত?
আমাদের অনেকের ওয়েবসাইট থাকা সত্ত্বেও আমরা এটি সম্পর্কে তেমন একটা জানি না।যার ফলে আমাদের ওয়েবসাইটের ভিউ ও কম হয়। আমরা যদি গুগল স্নিপেট সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে শুনে তারপর মাঠে নামি তবে আমাদের গুগলে মার্কেট ধরে রাখতে অনেকটা সুবিধা হবে।
একটি পরিসংখ্যান থেকে জানা যায় যে,
১.প্রায় ১২% ওয়েবসাইট তাদের মার্কেট ধরে রাখতে সক্ষম হয় গুগল স্নিপেট এর মাধ্যমে।
২.ব্যাবহারকারীর পাওয়া প্রায় ৯৭% প্রশ্নের উত্তর খুজে পেতে সাহায্য করে গুগল নিজেই তাদের ফিচারের সাহায্যে।
৩.আমরা ৪ ধরনের ফিচার দেখতে পাব গুগল স্নিপেট এ।এগুলো হলো
- Paragraph (text)
- List (numbered or bulleted)
- Table
- Video (from YouTube)
৪.আমরা অনেক সময় ভয়েস সার্চের মাধ্যমে আমরা গুগলে বিভিন্ন জিনিস জেনে থাকি। এর মধ্যেও প্রায় ৮৫% অংশের দিকে খেয়াল রাখে গুগল নিজেই।
৫.৮৫% এর ও বেশি ওয়েবসাইট টার্গেট করে “long-tail keywords” এর মাধ্যমে। এটির প্রতি মাসের সার্চ ভলিউম প্রায় ১০০ এর বেশি হয়ে থাকে।
কিভাবে আমরা গুগল স্নিপেট এক্টিভেট করে ভিউ বাড়াতে পারি
১.আপনার টার্গেট কি ওয়ার্ড ঠিক করা।ধরুন আপনি ক্রিকেট সম্পর্কে একটি ব্লগ লিখলেন।এখন গুগলে কেউ ক্রিকেট সম্পর্কে জানতে চাইলে গুগল চেষ্টা করবে কোন লিখাটিতে ক্রিকেট লিখাটি সর্বোচ্চ বার রয়েছে।তাই আমাদের কোনো বিষয়ের উপর লিখতে টার্গেট ওয়ার্ডগুলো বার বার ব্যাবহার করতে হবে।
২.আপনি যে কন্টেন্ট এর উপর লিখবেন তার সার অংশ টুকু ৫০-৬০ ওয়ার্ড এ প্রথমেই বিশ্লেষণ করা।এতে করে ব্যাবহারকারীর সামনে সহজেই পরে যাবে এবং চোখে পরবে।
৩. আপনার লিখাটিতে বেশি বেশি ভিউজাল কন্টেন্ট ব্যাবহার করতে পারেন।অর্থাৎ আপনি আপনার ওয়েবসাইটের যে ব্লগটি লিখবেন সেটি সম্পর্কিত অনেক গুলো ছবি বা ভিডিও এড করার চেষ্টা করবেন।
৪.সার্চ লিস্টের প্রায় ৮৩% ই আসে HTTPS থেকে।আপনার ওয়েবসাইট টি যদি HTTPS টাইপ না হয়ে থাকে তবে এখন ই এটিকে HTTPS এ ট্রান্সফার করার চেষ্টা করুন।
৫.চেষ্টা করুন আপনার ব্লগটি সহজ লভ্য করার। অর্থাৎ সবাই যেনো এটি বুঝতে পারে এমনকি গুগল ও যেনো যেকোনো প্রশ্ন পেলে তার উত্তরে আপনার ব্লগটিই বেছে নেয় প্রথমে।এইটি একটি হাইডেন ট্রিকস।
৬.আপনার লিংক এর অথোরিটির প্রাইভেসি আরো হার্ড করে ফেলুন।যে ডোমাইন এ হোস্টিং করা সেটি যত পারেন আপগ্রেড করে নিন। এতে হবে কি আপনার ওয়েবসাইট টি আরো বেশি গ্রো করবে।
কম্পিটিটরদের দিকে খেয়াল রাখা
মনে রাখবেন ওয়েব হোস্টিং কিন্তু একটি কম্পিটিশনের খেলা।যে যত ভালো ফর্মাটিং করতে পারবে।যে যত ভালো লিখতে পারবে সে তত গ্রো আপ করবে।আপনি যে ব্লগটি লিখছেন আপনার ওয়েবসাইটে মনে রাখবেন আরো ৫০ জনের বেশি এর উপর লিখে ফেলেছে।এবং আপনার পরে আরো ১০০ জন এই টপিক নিয়ে লিখবে। ইউজার রা এর মধ্য থেকে সবচেয়ে ভালো ব্লগটি খুজে নিয়ে অইটির পিছনেই পরে থাকবে।তাই চেষ্টা করবেন আপনার সর্বোচ্চ টা দিয়ে চেষ্টা করা।আপনি যত ভালো লিখবেন, যত ভালোভাবে সাজাবেন আপনার ওয়েবসাইট তত গ্রো আপ করবে।
উপভোগ করি ব্লগ পোস্ট লিখা-
তো বন্ধুরা আশা করি উপরের পদ্ধতি গুলো ঠিকঠাক ভাবে অনুসরণ করলেই আপনি সঠিক ভাবে এই কাজটি করতে পারেন।এখন থেকে আশা করি আর ব্লগ পোস্ট করা নিয়ে কোনো ঝামেলায় পরতে হবে না।আজ এই পর্যন্ত-ই।আবার অন্য একদিন কথা হবে অন্য কোনো বিষয় নিয়ে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন।