আজকে আমরা কথা বলবো ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার নিয়ে। ইউটিউবে সার্চ দিলে দেখা যাবে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার নিয়ে অনেক কিছুই আলোচনা করা হয়েছে কিন্তু বাংলা ভাষায় এই বিষয়ে তেমন কিছু আলোচনা করা হয়নি। অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকে “আমি টিউটোরিয়াল তৈরি করবো, ইউটিউব এর জন্য আমার কোন সফটওয়্যার টা ভালো হবে ?” তারপর আবার অনেকের প্রশ্ন থাকে “আমি গ্রাফিক্সের অন্যান্য কাজ করব কোন ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার ভালো হবে ?” এভাবে একেকটি ভিডিও এডিটিং এর জন্য একেকটি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার যেমন প্রযোজ্য ঠিক তেমনি কোন সফটওয়্যার দিয়ে কি ধরনের ভিডিও এডিটিং করব সেই বিষয়টি আমাদের জানা আবশ্যক। তাই চলুন আজকে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার সম্পর্কে জানা যাক। আমরা আজ নয়টি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার সম্পর্কে তুলে ধরার চেষ্টা করব।
আরও পড়ুনঃ
১. Camtasia
শুরুতেই আমরা আজকে কথা বলব যে সফটওয়্যারটি নিয়ে সেটা হচ্ছে ক্যামতাসিয়া। ক্যামটাসিয়া মূলত ব্যবহৃত হয় ইউটিউব টিউটোরিয়াল ভিডিও তৈরী করার জন্য। বর্তমানে ক্যামতাসিয়া 9 ভার্সন টি ও চলে এসেছে এটি খুবই আকর্ষণীয় ভার্সন এবং সফটওয়্যার।
২. Wondershare.Filmora
যদি আপনার কম্পিউটার স্লো মানের হয়, স্লো মানের বলতে মনে করুন আপনার কম্পিউটারটি ডুয়েল কোর কিন্তু আপনার ভিডিও এডিটিং এর অনেক শখ আপনি ভিডিও এডিটিং শিখতে ইচ্ছুক কিন্তু আপনার কম্পিউটারের কনফিগারেশন ভালো না এক্ষেত্রে ফিলমোরা হবে আপনার জন্য পারফেক্ট চয়েজ।অসাধারণ একটি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার এর মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ধরনের ট্রানজেকশন ইফেক্ট দিতে পারবেন। ভিডিও এডিটিং এর ক্ষেত্রে আপনার যাবতীয় যত চাওয়া–পাওয়া আছে তা এই স্বল্প মেগার সাধারণত 130 মেগাবাইটের সফটওয়্যার এর মাধ্যমে সম্পন্ন করতে পারবেন।
৩. Adobe premier
এই সফটওয়্যার টি এডোবি কোম্পানির করা একটি সফটওয়্যার। এডোবি কোম্পানি মানে বুঝতে পারছেন এটা একটি উন্নতমানের সফটওয়্যার।আমরা সকলেই এডোবি ফটোশপ ব্যবহার করে থাকি। এছাড়াও এডোবি ইফেক্টস এর জন্য আলাদা সফটওয়্যার রয়েছে। অন্যান্য ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার এর তুলনায় এই সফটওয়্যারটি একটু কঠিন বলা যায়। এর মধ্যে অনেক কাজ করা সম্ভব।অনেকেই এডোবি প্রিমিয়ার সফটওয়্যারটি বুঝেন না। তাই এডোবি ছাড়া বাকি সফটওয়্যারগুলোকে বেশি প্রাধান্য দেন কারণ এগুলো অ্যাডোবির মতই কাজ করে থাকে কিন্তু তুলনামূলক সহজ।
৪. Sony Vegas
ভিডিও এডিটিং এর জন্য অসাধারন একটি সফটওয়্যার হচ্ছে সনি ভেগাস। সনি ভেগাস এর বিশেষ কিছু গুণ রয়েছে এই সফটওয়্যার টি ৪০০
মেগাবাইট এর মত। এই সফটওয়্যার এর মাধ্যমে আপনারা খুব সহজে ইউটিউব চ্যানেলের ইন্ট্রো তৈরি করতে পারবেন। এই সফটওয়্যারটির মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ধরনের প্লাগিং ব্যবহার করে আকর্ষণীয় স্লাইড সহ ভিডিও তৈরি করতে পারবেন।
৫. Magix movie studio
ম্যাজিক মুভি স্টুডিও এই সফটওয়ারটি খুবই জনপ্রিয় এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি সফটওয়্যার। এই সফটওয়্যারটির মাধ্যমে আপনি আপনার যাবতীয় ভিডিও এডিটিং এর কাজ করতে পারবেন। সফটওয়ারটি মোটামুটি ইউজার ফ্রেন্ডলি সফটওয়্যার।
৬. Corel videostdio
কোরেল ভিডিও স্টুডিও অনেক আগে থেকেই অনেকের পরিচিত একটি সফটওয়্যার। এর মাধ্যমে আপনারা বিভিন্ন ডিজাইন করতে পারবেন এর অনেকগুলো ভার্সন আছে। আপনারা সবসময় আপডেট ভার্সন টি ব্যবহার করার চেষ্টা করতে পারেন।
৭. Cyberlink video editor
সাইবার লিন্ক ভিডিও এডিটর বর্তমানে এত জনপ্রিয়তা পেয়েছে যে বর্তমানে আমাদের নাটকের ভিডিও গুলো সাইবারলিঙ্ক দ্বারা প্রায় সময় এডিট করা হয়ে থাকে।এমনকি এই সফটওয়ারটিতে কালার কম্বিনেশন করার জন্য উন্নত মানের ব্যবস্থা রয়েছে। যদি আপনারা শর্টফিল্ম করতে চান তাহলে শর্টফিল্ম এর জন্য এই সফটওয়ারটি খুবই ভালো হবে।
৮. HITFILM
হিট ফিল্ম সফটওয়ারটি বাকি সফট্ওয়ারে তুলনায় অনেক কঠিন। এটি অনেকটা এডোবি প্রিমিয়ার এর মতই বলা চলে। এটি আপনি উন্নতমানের ভিডিও এডিটিং এর জন্য চাইলে ব্যবহার করতে পারেন।
৯. Edius
আপনারা লক্ষ্য করলে দেখবেন বিয়ে বাড়ির ভিডিও বা জন্মদিনের ভিডিও এডিটিং এর জন্য বিশেষভাবে এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বিয়ে বাড়িতে বর–কনের বিভিন্নভাবে বিভিন্ন স্টাইলে দেখানো হয় থাকে এই স্টাইল গুলোতে বিভিন্ন ধরনের ইফেক্ট এবং third-party প্লাগিং করা হয়ে থাকে যা এডিয়াস দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে করা যায়। যারা প্রফেশনালি বিয়ে বাড়ির ভিডিও এডিট করে থাকেন তারা এডিয়াস সফটওয়্যার টি কে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। যদি আপনি জন্মদিন বা বিয়ে বাড়ির ভিডিও এডিট করতে চান তাহলে আপনি এই সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন।
বাহ .. সত্যিই সুন্দর পোস্ট। এই পোস্টটি আমাদের সেরা নয়টি ভিডিও সম্পাদনা সফ্টওয়্যার প্রস্তাব দেয় এবং আমি এটি পছন্দ করি। ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ.