শরীরের পরিপূর্ণ বৃদ্ধি এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পূষ্টিকর খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরী। ভিটামিন-এ এমন একটি পূষ্টি উপাদান যা আমাদের শারীরিক বৃদ্ধিও পরিপূর্ণ বিকাশে অত্যন্ত জরুরী। ভিটামিন-এ এর অভাবে কি হয়? এমন প্রশ্ন করলে, সবাই এক কথায় বলবেন রাতকানা রোগ হয়। তবে, ভিটামিন-এর অভাবে আরও বিভিন্ন ধরণের শারীরিক ব্যাধিও হয়ে থাকে। ভিটামিন-এ এর অভাবে অন্ধত্ব সহ, শ্বাসনালীর ক্যান্সার, গলবিল এবং ত্বকের বিভিন্ন রোগ হতে পারে। আমাদের শরীরের যকৃতকেও ভাল রাখতে হলে ভিটামিন-এ এর গুরুত্ব অপরিসীম। একজন শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সকলের প্রতিদিন ভিটামিন-এ গ্রহণ অত্যন্ত জরুরী। এখন, ভিটামিন-এ গ্রহণ মানে এটা নয় যে, প্রতিদিন শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলকে ভিটামিন -এ ক্যাপসুল খেতে হবে। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমানে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। এখন অবশ্যই এটা জানা জরুরী যে, ভিটামিন -এ সমৃদ্ধ খাবার কোন গুলো ? কোন খাবারে ভিটামিন-এ থাকে? আজকে এই পোষ্ট থেকে জানতে পারবেন ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ খাবার গুলো কি? তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে নিই কোন কোন খাবারে ভিটামিন-এ থাকে।
ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ খাবারের তালিকাঃ
ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ খাবার গুলোর মধ্যে রয়েছে, গাজর, গরুর কলিজা, শরিষা শাক, পালংশাক, ব্রোকরি, টমেটো, মিষ্টি আলু, মিষ্টি কুমড়া, পেঁপে, ডিম, দুধ ও আরও অনেক খাবারে ভিটামি-এ পাওয়া যায়। ভিটামিন-এ জাতীয় খাবারের তালিকা নিচে বিস্তারিত পড়ুনঃ
গরুর কলিজাঃ গরুর কলিজায় প্রচুর পরিমানে ভিটামিন-এ রয়েছে। শুধু গরুর কলিজা নয়, যেকোন প্রাণীর কলিজায় প্রচুর পরিমানে ভিটামিন-এ থাকে। প্রতি ১০০ গ্রাম গরুর কলিজায় আমাদের শরীরের প্রতিদিনের প্রয়োজনীতার ১০ গুণ সরবরাহ করে ।
মিষ্টি আলুঃ নানা পুষ্টি গুণে সমৃদ্ধ মিষ্টি আলুতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন-এ। প্রতি ১০০ গ্রাম মিষ্টি আলুতে রয়েছে প্রতিদিন প্রয়োজনের প্রায় ৪০ %।
মিষ্টি কুমড়াঃ মিষ্টি কুমড়া আমাদের সকলের কাছে সুপরিচিত ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ খাবার হিসেবে। প্রতি ১০০ গ্রাম মিষ্টি কুমড়া আমাদের প্রতিদিনের প্রয়োজনীয়তার প্রায় ১০% ভিটামিন-এ সরবরাহ করে থাকে।
পালংশাকঃ পালংশাকে যথেষ্ট ভিটামিন-এ রয়েছে। প্রতি ১০০ গ্রাম পালংশাক আমাদের প্রয়োজনীতার প্রায় ১৫% সরবরাহ করে থাকে।
আমঃ আম টক স্বাদের বা মিষ্টি যাইহোক না কেন একটি আমে প্রায় ২০% ভিটামিন-এ থাকে।
বাঁধাকপিঃ ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ খাবার গুলোর মধ্যে বাাঁধাকপিও অন্যতম। বাঁধাকপিতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন-এ রয়েছে।
বাটারঃ মিষ্টি জাতীয় খবারের মধ্যে বাটার অন্যতম। বাটারে আমাদের প্রয়োজনীয়তার ১০% ভিটামিন-এ থাকে।
টমেটোঃ টমেটো শীতকালীন সবজী হিসেবে পরিচিত হলেও বর্তমানে প্রায় ১২ মাসেই টমেটো পাওয়া যায়। টমেটোতে ভিটামিন-এ যথেষ্ট পরিমানে পাওয়া যায়।
দুধঃ দুধ হল সুষম খাবার। দুধে প্রায় সব ধরনের খাদ্য উপাদান পাওয়া যায়। দুধে দৈন্দিন প্রয়োজনীয়তার ২% ভিটামিন-এ পাওয়া যায়।
আমাদের শরীরের জন্য ভিটামিন এর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। ভিটামিন-এ না গ্রহন করলে আমাদের যেমন বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা হয়। তেমনি অতিরিক্ত ভিটামিন-এ গহনেও হতে পারে নানা পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া।