স্কুল-কলেজ ,অফিস-আদালত সহ বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজে আমাদেরকে আবেদনপত্র লেখার প্রয়োজন পড়ে। ছুটির প্রয়োজন বা বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য আমরা অফিশিয়াল ভাবে যে পত্র প্রদান করে থাকি সেটাই মূলত আবেদন পত্র দরখাস্ত। অনেকেই দরখাস্ত বা আবেদন পত্র লেখার নিয়মাবলী সঠিকভাবে জানেন না। তাদের জন্যই মূলত আজকের লেখাটি, দরখাস্ত লেখার নিয়মাবলী।
বিভিন্ন প্রয়োজনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা কর্মস্থল থেকে আমাদের ছুটি নেওয়া বা বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য আমাদেরকে আবেদনপত্র লিখতে হয়। অনেক সময় নতুন চাকরি নেওয়ার জন্যও আমাদেরকে চাকরির জন্য দরখাস্ত লিখতে হয়। বিশেষ করে ব্যক্তিগত ভাবে আমাদেরকে ছুটি ও চাকরির জন্য দরখাস্ত লেখার প্রয়োজন বেশি হয়। সুতরাং ছুটির জন্য ও চাকরির জন্য আবেদন পত্র লেখার নিয়মাবলী জেনে রাখা ভালো।
অনেক সময়ই আবেদনপত্র লেখার নিয়ম সম্পর্কে কোন বিষয়ে অজানা থাকলে অন্য কারো কাছ থেকে সাহায্য গ্রহণ করতে গেলেও কিছুটা বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। তাই আমাদের উচিত আবেদনপত্র লেখার নিয়মকানুন সঠিকভাবে আয়ত্ত করা। কিভাবে দরখাস্ত লিখতে হয়, ছুটির আবেদন পত্র লেখার নিয়ম কি, চাকরির আবেদন পত্র লেখার নিয়ম কি, অভিযোগ পত্র লেখার নিয়ম কি, কোন আবেদন পত্রের ফরমেট কেমন হয়, কোন আবেদনপত্রে কি কি ধরনের সংযু্ক্তি প্রদান করতে হয় ইত্যাদি সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। দরখাস্ত লেখার নিয়মাবলী সম্পর্কে জানা থাকলে ব্যক্তিগত বা কর্মজীবনে অনেক উপকৃত হবেন।
আবেদন পত্র লেখার নিয়ম | দরখাস্ত লেখার নিয়মাবলী
ছাত্রজীবনে বা কর্মজীবনে প্রতিটি ক্ষেত্রেই আবেদনপত্র লেখার প্রয়োজন পড়ে। নতুন চাকরি নেওয়ার ক্ষেত্রেও আমাদের আবেদনপত্র লেখার প্রয়োজন হয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দরখাস্ত লেখার নিয়মাবলী বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। যেমন চাকরির জন্য আবেদন পত্র লেখার নিয়ম একরকম, ছুটির জন্য আবেদন পত্র লেখার নিয়ম আরেকরকম, সমস্যার সমাধান চেয়ে আবেদন পত্র লেখার নিয়মাবলী ভিন্ন। যেহেতু আবেদনপত্র লেখার নিয়ম আমাদের ছাত্রজীবন থেকে কর্মজীবন প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রয়োজন হয় সুতরাং আবেদন পত্র লেখার নিয়মাবলী রাখা উচিত।
যাইহোক, আজকের এই পোস্টে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব যে কিভাবে আবেদন পত্র বা দরখাস্ত লিখতে হয়, সকল ধরনের দরখাস্ত লেখার নিয়মাবলী। তো চলুন আবেদনপত্র লেখার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাকঃ
আবেদন পত্র লেখার কিছু নিয়মাবলী আছে, তবে, যে ধরনেরই আবেদন পত্র দরখাস্ত লিখেন না কেন, সকল ধরনের আবেদন পত্রের ফরমেট এর মধ্যে কিছু মিল রয়েছে। তাই, হোক আপনি ছুটির জন্য আবেদন পত্র লিখছেন, বা চাকরির জন্য আবেদন পত্র লিখেছেন, সকল ধরনের আবেদন পত্র লেখার ক্ষেত্রে নিচের নিয়মগুলো অবশ্যই অনুসরণ করে লিখতে হবে।
তারিখ
প্রাপক ( যার কাছে আবেদনপত্র লিখছেন তার নাম,পদবী ও ঠিকানা)
একটা সময় ছিল আবেদনপত্র লেখার ক্ষেত্রে পূর্বে আবেদনকারীর নাম আবেদনপত্রের শেষের দিকে ডান পাশে লেখা হতো এবং বাম পাশে আবেদনের তারিখ লেখা হতো। কিন্তু বর্তমানে আবেদনপত্র লেখার সঠিক নিয়ম হচ্ছে, সকল লেখা লেফট এলাইনে লিখতে হবে। এবং শুরুতে সবার প্রথমে আবেদনের তারিখ লিখতে হবে। আপনাদেরকে আবেদন পত্র লেখার নিয়ম সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা দিতে আমি নিচে ক্যাটাগরি অনুযায়ী কতগুলো আবেদন পত্রের নমুনা দিয়েছি।আশা করি নিচের আবেদনপত্র গুলোর নমুনা দেখলে আপনি আবেদন পত্র লেখার বা দরখাস্ত লেখার নিয়ম সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা পেয়ে যাবেন।
ছুটির জন্য আবেদন পত্র লেখার নিয়ম | আবেদন পত্র নমুনা
তারিখ: ২২/০৩/২২ ইং
বরাবর,
প্রধান শিক্ষক
জে সি এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
পাটকেলঘাটা,সাতক্ষীরা।
বিষয়ঃ ছুটির জন্য আবেদন।
জনাব,
যথাবিহীত সম্মানপূর্বক আমার বিনীত নিবেদন এই যে, আমি আপনার বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর একজন নিয়মিত ছাত্র। আগামী ২৮/০৩/২২ ইং আমার বড় বোনের বিবাহ অনুষ্ঠান। তাই আগামী ২৭/০৩/২২ ইং তারিখ থেকে ২৯/০৩/২২ ইং তারিখ পর্যন্ত আমার বড় বোনের বিবাহ উপলক্ষে তিন দিন বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকতে পারবো না। আমার এই তিন দিনের ছুটি প্রয়োজন।
অতএব, জনাব সমীপে আমার আকুল আবেদন এই যে, যাতে আমি উক্ত তিন দিন ছুটি পেতে পারি তার বিহীত ব্যাবস্থা করতে আপনার মর্জি হয়।
বিনীত নিবেদক
আপনার একান্ত অনুগত ছাত্র
সুমন হোসেন
জে সি এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়
শ্রেণিঃ অষ্টম
রোল নম্বরঃ ৩
জনাব,
যথাবিহীত সম্মানপূর্বক আমার বিনীত নিবেদন এই যে, আমি আপনার বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর একজন নিয়মিত ছাত্র। আমার বাবা একজন দরিদ্র কৃষক। আমার বাবা আমাদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তিনি গত কয়েক মাস যাবত শারীরিকভাবে ভীষণ অসুস্থ। এমতাবস্থায় আমাদের পরিবারের খরচ ও চার ভাই বোনের লেখাপড়ার খরচ বহন করা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে।
অতএব, জনাব সমীপে আমার আকুল আবেদন এই যে, আমার উক্ত সমস্যার কথা বিবেচনা করে যাতে আমি দরিদ্র তহবিল হতে আর্থিক সহায়তা পেতে পারি তার বিহীত ব্যাবস্থা করতে আপনার মর্জি হয়।
বিনীত নিবেদক
আপনার একান্ত অনুগত ছাত্র
সুমন হোসেন
জে সি এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়
শ্রেণি: অষ্টম
রোল নম্বর: ৩
চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য আবেদন পত্র লেখার নিয়ম | আবেদন পত্র নমুনা
তারিখ: ২২/০৩/২২ইং
বরাবর,
ব্যবস্থাপনা পরিচালক
সুপার টেকনোলজি লিমিটেড।
৪৩০/এ, তেজগাঁও,
ঢাকা-১২১৫।
বিষয়ঃ চাকরি হতে অব্যাহতির জন্য আবেদন।
জনাব,
যথাবিহীত সম্মানপূর্বক আমার বিনীত নিবেদন এই যে, আমি সুমন হোসেন আইডি নম্বরঃ 212559 আপনার প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মচারী। আমি দীর্ঘদিন আপনার প্রতিষ্ঠানে একজন প্রডাকশন সুপারভাইজার হিসেবে চাকরি করে আসছে। কিন্তু আমার কিছু পারিবারিক সমস্যার কারণে আমার পক্ষে আগামী ৩০/০৪/২২ তারিখের পর থেকে চাকরী করা সম্ভব নয়।
অতএব, সমীপে আমার আকুল আবেদন এই যে, যাতে আমি আগামী ৩০/০৪/২২ তারিখের পর থেকে চাকরি হতে অব্যাহতি পেতে পারি তার বিহীত ব্যবস্থা করতে আপনার মর্জি হয়।
যথাবিহীত সম্মানপূর্বক আমার বিনীত নিবেদন এই যে, আমি আপনার বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর একজন নিয়মিত ছাত্র। আমার পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতার অভাবে আমি আমার বেতন সহ অন্যান্য ফি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়েছি। আমার বাবা আমাদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তিনি গত কয়েকমাস যাবৎ অসুস্থ। আমি ছাড়া আমার আরো এক ছোট ভাই ও বোন রয়েছে। তাই পরিবারের খরচ যোগাতে গিয়ে সঠিক সময়ে ফি জমা দিয়ে পারিনি।
অতএব, জনাব সমীপে আমার আকুল আবেদন এই যে, আমার উক্ত সমস্যা বিবেচনা করে যাতে আমি নির্ধারিত সময়ে ফি দিতে না পারায় জরিমানা থেকে মওকুফ পেতে পারি তার বিহীত ব্যবস্থা করতে আপনার মর্জি হয়।
বিনীত নিবেদক
আপনার একান্ত অনুগত ছাত্র
সুমন হোসেন
জে সি এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়
শ্রেণি: অষ্টম
রোল নম্বর: ৩
সহকারী শিক্ষক পদে চাকরির জন্য আবেদন পত্র লেখার নিয়ম | আবেদন পত্র নমুনা
তারিখঃ ২২/০৩/২২
বরাবর,
সভাপতি
জে সি এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
পাটকেলঘাটা সাতক্ষীরা।
বিষয়ঃ শিক্ষক পদে চাকরির জন্য আবেদন।
জনাব,
যথাবিহীত সম্মানপূর্বক আমার বিনীত নিবেদন এই যে, আমি গত ১লা ডিসেম্বর তারিখে দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানতে পারলাম যে, আপনার বিদ্যালয় দুইজন সহকারী শিক্ষক প্রয়োজন। আমি আপনার বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক হিসেবে চাকরি করতে ইচ্ছুক। আমি উক্ত পদের জন্য একজন প্রার্থী হিসেবে নিচে আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী আপনার নিকট পেশ করলাম।
প্রার্থীর নামঃ মোঃ সুমন হোসেন
পিতার নামঃ মোঃ আবুল হোসেন
মাতার নামঃ নূরজাহান বেগম
বর্তমান ঠিকানাঃ কাশেমপুর, পাটকেলঘাটা, সাতক্ষীরা-৯৪২৪
আমি বর্তমানে একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ে একজন সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছি।
সংযুক্তিঃ
দুই কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি
একাডেমিক সকল সনদপত্রের সত্যায়িত কপি
চারিত্রিক সনদপত্র
নাগরিকত্ব সনদপত্র
পোস্টাল অর্ডার নাম্বার ও ফটোকপি
অতএব, জনাব সমীপে আমার একান্ত আবেদন এই যে, উপরিউক্ত তথ্যাদি, আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সমূহ বিবেচনা করে আপনার বিদ্যালয়ে একজন সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ দানে আপনার মর্জি হয়।
যথাবিহীত সম্মানপূর্বক আমার বিনীত নিবেদন এই যে, আমি আপনার বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর একজন নিয়মিত ছাত্র। আমি গত ১৫/০৩ /২২ইং তারিখ থেকে ২৯/ ০৩/ ২০২২ইং তারিখ পর্যন্ত মোট পাঁচ দিন শারীরিক অসুস্থতার কারণে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকতে পারিনি।
অতএব, জনাব সমীপে আমার একান্ত আবেদন এই যে, আমার অসুস্থতার কথা বিবেচনা করে আমি যাতে উক্ত ৫ দিন ছুটি পেতে পারি তার বিহীত ব্যাবস্থা করতে আপনার মর্জি হয়।
বিনীত নিবেদক
আপনার একান্ত অনুগত
সুমন হোসেন
জে সি এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়
শ্রেণি: অষ্টম
রোল নম্বর: ৩
উপবৃত্তির জন্য আবেদন পত্র লেখার নিয়ম | আবেদন পত্র নমুনা
তারিখ: ২৩/ ৪/ ২০২২ইং
বরাবর,
অধ্যক্ষ
জে সি এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়
পাটকেলঘাটা, সাতক্ষীরা।
বিষয়: উপবৃত্তির জন্য আবেদন।
জনাব,
যথাবিহীত সম্মানপূর্বক আমার বিনীত নিবেদন এই যে, আমি আপনার বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর একজন নিয়মিত ছাত্র। আমার বাবা একজন দরিদ্র কৃষক, আমাদের নিজেদের কোনো জমি নেই আমার বাবা অন্যের জমি চাষ করেন। এবং আমার বাবা আমাদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। গত কয়েক মাস ধরে তিনি শারীরিকভাবে ভীষণ অসুস্থ। তাই, আমার বাবার পক্ষে আমাদের পরিবারের খরচ বহন করার পর আমাদের তিন ভাইবোনের লেখাপড়ার খরচ বহন করা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে।
অতএব, জনাব সমীপে আমার একান্ত আবেদন এই যে, উপরিউক্ত আর্থিক পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে যাতে আমি উপবৃত্তি পেতে পারি তার বিহিত ব্যাবস্থা করতে আপনার মর্জি হয়।
বিনীত নিবেদক
আপনার একান্ত অনুগত
সুমন হোসেন
জে সি এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়
শ্রেণি: অষ্টম
রোল নম্বর: ৩
প্রশংসাপত্র চেয়ে প্রধান শিক্ষকের নিকট আবেদন পত্র লেখার নিয়ম | আবেদন পত্র নমুনা
তারিখ: ২৩/ ০৪/ ২০২২ইং
বরাবর,
অধ্যক্ষ
জে সি এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়
পাটকেলঘাটা, সাতক্ষীরা।
বিষয়: প্রশংসা পত্রের জন্য আবেদন।
জনাব,
যথাবিহীত সম্মানপূর্বক আমার বিনীত নিবেদন এই যে,আমি সুমন হোসেন আপনার বিদ্যালয়ের একজন নিয়মিত ছাত্র ছিলাম। আমি গত ২০২১ সালে যশোর বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এস এস সি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছি। বিদ্যালয় অধ্যায়নকালে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডেও সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল। কখনো কোনো আইন শৃঙ্খলা বিরোধী কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। আমি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীতে ভর্তি হতে ইচ্ছুক।এজন্য আমার আপনার স্বাক্ষরিত একটি প্রশংসা পত্র অত্যন্ত প্রয়োজন।
অতএব, জনাব সমীপে আমার একান্ত আবেদন এই যে, যাতে আমি আপনার স্বাক্ষরিত একটি চারিত্রিক ও শিক্ষা বিষয়ক প্রশংসাপত্র পেতে পারি তার বিহীত ব্যবস্থা করতে আপনার মর্জি হয়।
যথাবিহীত সম্মানপূর্বক আমার বিনীত নিবেদন এই যে, আমি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২০২২ সেশনের বাণিজ্য বিভাগের ছাত্র। ভর্তির সময় হল নির্বাচনে মহাসিন হলে আমার সিট বরাদ্দ হয়। ইতিমধ্যেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছে যে, আগামী ১ লা জুলাই থেকে প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হবে । তাই ক্লাস শুরু হওয়ার পূর্বে আমার হলে ওঠা প্রয়োজন।
অতএব, জনাব সমীপে আমার আকুল আবেদন এই যে, আমার পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে যাতে আপনার হলে একটা সিট বরাদ্দ পেতে পারি তার বিহিত ব্যবস্থা করতে আপনার মর্জি হয়।
বিনীত নিবেদক
সুমন হোসেন
সেশন:২১-২২, সেমিস্টার ১
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
খুলনা।
স্কুলে ভর্তির জন্য আবেদন পত্র লেখার নিয়ম | আবেদন পত্র নমুনা
তারিখ: ২৩/ ০৪/ ২০২২ইং
বরাবর,
অধ্যক্ষ
জে সি এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়
পাটকেলঘাটা, সাতক্ষীরা।
বিষয়: স্কুলে ভর্তির জন্য আবেদন।
জনাব,
যথাবিহীত সম্মানপূর্বক আমার বিনীত নিবেদন এই যে, আমি খুলনা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর একজন নিয়মিত ছাত্র। আমার বাবা একজন সরকারি চাকরিজীবী। সম্প্রতি আমার বাবা খুলনা থেকে পাটকেলঘাটায় বদলি হয়ে এসেছেন। আমি আমাদের পরিবারের সাথেই থাকি। এখন আমার পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য পাটকেলঘাটার কোন স্কুলে ভর্তি হওয়া প্রয়োজন। আমি আপনার জে সি এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণীতে ভর্তি হতে ইচ্ছুক ।
অতএব, জানার সমীপে আমার আকুল আবেদন এই যে, আমার উক্ত অবস্থার কথা বিবেচনা করে যাতে আমি আপনার বিদ্যালয়ের ভর্তি হতে পারি তার বিহীত ব্যবস্থা করতে আপনার মর্জি হয়।
বিনীত নিবেদক
সুমন হোসেন
খুলনা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
শ্রেণি: অষ্টম
রোল নম্বর: ৩
ছাড়পত্রের জন্য আবেদন পত্র লেখার নিয়ম | আবেদন পত্র নমুনা
তারিখ: ২২/০৩/২২ইং
বরাবর,
অধ্যক্ষ
খুলনা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়
খুলনা।
বিষয়: ছাড়পত্রের জন্য আবেদন।
জনাব,
যথাবিহীত সম্মানপূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, আমি আপনার বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর একজন নিয়মিত ছাত্র। আমার বাবা একজন সরকারি চাকরিজীবী। আমার বাবা খুলনা থেকে পাটকেলঘাটায় বদলি হয়েছেন। আমি আমার পরিবারের সঙ্গে থাকি। এমত অবস্থায় আমার পক্ষে আপনার বিদ্যালয় আর নিয়মিত অধ্যায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না।তাই জরুরী ভিত্তিতে আমার ছাড়পত্রের প্রয়োজন যাতে আমি পাটকেলঘাটা নিকটবর্তী কোন বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে আমার পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারি।
অতএব, জনাব সমীপে আমার আকুল আবেদন এই যে, যাতে আমি জরুরী ভিত্তিতে ছাড়পত্র পেতে পারি তার বিহিত ব্যবস্থা করতে আপনার মর্জি হয়।
বিনীত নিবেদক
আপনার একান্ত অনুগত ছাত্র
সুমন হোসেন
খুলনা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়
শ্রেণি: অষ্টম
রোল নম্বর: ৩
চাকরির আবেদন পত্র লেখার নিয়ম | আবেদন পত্র নমুনা
তারিখঃ ২২/০৩/২২
বরাবর,
সভাপতি
জে সি এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
পাটকেলঘাটা সাতক্ষীরা।
বিষয়ঃ শিক্ষক পদে চাকরির জন্য আবেদন।
জনাব,
যথাবিহীত সম্মানপূর্বক আমার বিনীত নিবেদন এই যে, আমি গত ১লা ডিসেম্বর তারিখে দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানতে পারলাম যে, আপনার বিদ্যালয় দুইজন সহকারী শিক্ষক প্রয়োজন। আমি আপনার বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক হিসেবে চাকরি করতে ইচ্ছুক। আমি উক্ত পদের জন্য একজন প্রার্থী হিসেবে নিচে আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী আপনার নিকট পেশ করলাম।
প্রার্থীর নামঃ মোঃ সুমন হোসেন
পিতার নামঃ মোঃ আবুল হোসেন
মাতার নামঃ নূরজাহান বেগম
বর্তমান ঠিকানাঃ কাশেমপুর, পাটকেলঘাটা, সাতক্ষীরা-৯৪২৪
আমি বর্তমানে একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ে একজন সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছি।
সংযুক্তিঃ
দুই কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি
একাডেমিক সকল সনদপত্রের সত্যায়িত কপি
চারিত্রিক সনদপত্র
নাগরিকত্ব সনদপত্র
পোস্টাল অর্ডার নাম্বার ও ফটোকপি
অতএব, জনাব সমীপে আমার একান্ত আবেদন এই যে, উপরিউক্ত তথ্যাদি, আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সমূহ বিবেচনা করে আপনার বিদ্যালয়ে একজন সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ দানে আপনার মর্জি হয়।
বিনীত নিবেদক
সুমন হোসেন
বিবিএ এন্ড এমবিএ
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়।
খুলনা।
আবেদন পত্র লেখার ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা উচিত
দরখাস্ত লেখার নিয়মাবলী অনুযায়ী আপনি যদি আবেদনপত্র সঠিকভাবে লিখতে না পারেন তাহলে অনেক ক্ষেত্রে আপনার আবেদনপত্র বাতিল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অনেক সময় ছোট ছোট কিছু ভুলের কারণে দরখাস্ত বাতিল হয়ে যায়। তাই দরখাস্ত লেখার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সতর্ক থাকতে হবে। আবেদনপত্র লেখার নিয়ম অনুযায়ী আবেদন পত্র লেখার সময় যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা উচিত তা নিচে দেওয়া হলঃ
আবেদনপত্র লেখার সঠিক নিয়ম অনুযায়ী আবেদন পত্র লিখুন।
অল্প কথায় সঠিকভাবে আপনার সমস্যা বা তথ্যাদি উপস্থাপন করার চেষ্টা করবেন এক পৃষ্ঠার মধ্যে আবেদনপত্র শেষ করার।
কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী যদি কোন ছবি প্রয়োজন হয় তা অবশ্যই দিতে হবে।
নির্দিষ্ট জায়গায় স্বাক্ষর করছেন কিনা সেটা খেয়াল রাখুন।
সঠিকভাবে তারিখ লিখেছেন কিনা সেটা খেয়াল রাখুন।
পেশাগত শিক্ষাগত যোগ্যতা সঠিকভাবে প্রদান করুন।
আবেদনপত্রের ক্ষেত্রে কোন ফি থাকলে যথাযথ ফি প্রদান করা।
চাকরির আবেদন পত্র লেখার ক্ষেত্রে আপনার পূর্বের অভিজ্ঞতা সঠিকভাবে বর্ণনা করা উচিত।
নির্দিষ্ট আবেদন পত্রের জন্য নির্দিষ্ট ফরম্যাট ব্যবহার করা।
পরিশেষে,
আশাকরি আবেদন পত্র লেখার নিয়ম, দরখাস্ত লেখার নিয়ম, চাকরির জন্য আবেদন পত্র লেখার নিয়ম, ছুটির জন্য আবেদন পত্র লেখার নিয়ম ইত্যাদি আবেদন পত্রের নমুনা দেখে আপনারা দরখাস্ত লেখার নিয়মাবলী সম্পর্কে ভালভাবে বুঝতে পেরেছেন। দরখাস্তের মাধ্যমে আপনি আপনার সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন, তাই আবেদন পত্র লেখার সময় সতর্কতার সাথে আবেদনপত্র লেখার নিয়ম অনুযায়ী আবেদন পত্র লিখবেন। কেননা, দরখাস্ত লেখার নিয়ম অনুযায়ী দরখাস্ত না লিখলে অনেক সময় আপনার দরখাস্ত বাতিলও হয়ে যেতে পারে।