কয়েক বছর আগেও আমার মাথায় এই প্রশ্নটি ঘুরপাক খাচ্ছিল যখন আমি ব্লগিং শুরু করার কথা চিন্তা করি যে,ইউটিউব বনাম ব্লগিং , কোনটাতে আয় বেশি হয়? কোনটি বেশি লাভজনক হবে? কোনটি আমার জন্য সহজ হবে? ইত্যাদি ইত্যাদি। আপনিও হয়ত এই চিন্তা দিয়েই এই পোস্টটি পড়ছেন। বিভিন্ন রিসার্চ ও আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা দিয়েই আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব যে, অনলাইনে আয় করার ক্ষেত্রে ইউটিউব বনাম ব্লগিং কোনটিতে বেশি আয় হয় এবং এই সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর। আরও জানতে পারবেন আপনার জন্য কোনটি ভাল হবে ইউটিউব বনাম ব্লগিং ? চলুন শুরু করা যাক।
“বর্তমান যুগ ভিডিও-এর যুগ ”, “এখন আর কেউ ব্লগ পড়ে না”
আপনি কি এই কথাগুলো শুনেছেন? আমি শুনেছি, অনেকবার। তারপরও আমি ব্লগিং শুরু করেছিলাম এবং সফলতাও অর্জন করেছি। আর আসলেই কি মানুষ এখন আর্টিকেল পড়ে না? অবশ্যই পড়ে এবং ভবিষ্যতেও পড়বে, যেমন আপনি পড়ছেন। তবে ইউটিউব এর জন্য একটু কম্পিটিশন বেড়েছে। সারাবিশ্বে মানুষ গুগলেই সবচেয়ে বেশি তথ্য খুজে। আর এজন্যই সার্চ ইঞ্জিন গুগল প্রথম অবস্থানে এবং ইউটিউব দ্বিতীয় অবস্থানে। আর তাছাড়া ইউটিউব গুগলের একটি অংশ। সুতরাং ভবিষ্যতেও গুগল প্রথম অবস্থানে থাকবে এতে কোন সন্দেহ নেই। তবে হ্যাঁ, ভিডিও কন্টেন্ট স্পষ্টভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং অনেক বেশি কার্যকারী।
যাইহোক মূল আলোচনায় আসি, বর্তমানে দিন দিন মানুষের অনলাইনে কাজ করে আয় করার প্রবণতা চলেছে। অনলাইনে কাজ করে ঘরে বসে আয় করার মজাই আলাদা। কিন্তু যারা ব্লগিং করে অনলাইনে আয় করতে চায়, ব্লগিং করব নাকি ইউটিউব ভিডিও বানাবো? ইউটিউব বনাম ব্লগিং কোনটিতে বেশি টাকা আয় হবে।
আশাকরি পোস্টটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়লে আপনার এই সিদ্ধান্তহীনতা দূরীভূত হয়ে যাবে।
চলুল প্রথমেই জেনে নিই, ইউটিউব থেকে কিভাবে টাকা আয় হয়ঃ-
আশাকরি আপনি অবশ্যই ইউটিউব সম্পর্কে জানেন। ইউটিউব বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম। ২০০৬ সালের ৯ই অক্টোম্বর গুগল ইউটিউব কিনে নেয় এবং বর্তমানে গুগল ইউটিউব পরিচালনা করে।
আপনি কি জানেন? প্রতিদিন ইউটিউবে গড়ে ৫ বিলিয়নেরও বেশি ভিডিও ভিউ হয় এবং ৩০ মিলিয়নেরও বেশি লোক ভিডিও দেখে। এছাড়াও প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ ভিডিও ইউটিউবে আপলোড হয়। আর একটা ব্যাপার জানলে আপনি অবাক হবেন যে, প্রতি মিনিটে ইউটিউবে ৩০০ মিনিটেরও বেশি ভিডিও আপলোড হয়।
ইউটিউব থেকে টাকা আয়
বর্তমানে ইউটিউব শুধুমাত্র ভিওি দেখা বা শেয়ার করার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। আপনি এটাকে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন।এবং অলরেডি লক্ষ লক্ষ মানুষ ইউটিউবে ক্যারিয়ার গড়েছেন। যাদেরকে বলা হয় ইউটিউবার। আপনি আপনার শেয়ার করা ভিডিওগুলোতে গুগল এডসেন্স-এর বিজ্ঞাপন দেখিয়ে খুব সহজেই টাকা আয় করতে পারেন।
ইউটিউব থেকে যেভাবে টাকা আয় হয়
ইউটিউবে গুগল এডসেন্স-এর বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয় করা হয়। তবে, আপনার ইউটিউব চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দেখাতে চাইতে ইউটিউব-এর কিছু নীতিমালা আছে তার মধ্যে প্রধান হল আপনার ইউটিউব চ্যানেলে কমপক্ষে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার এবং ৪০০০ ঘন্টা ওয়াসটাইম থাকতে হবে। ইউটিউব আপনার চ্যানেলের কন্টেন্ট অনুসারে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখিয়ে থাকে সেই বিজ্ঞাপনে ক্লিক, ভিউ অনুসারে একজন ইউটিউবারকে পেমেন্ট দিয়ে থাকে। সুতরাং যতবেশি ভিউ ততবেশি আয় হবে। বাংলাদেশে এমন অনেক ইউটিউবার আছেন যারা প্রতিমাসে ইউটিউব থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করেন।
ইউটিউব থেকে আয়ের উৎস সমূহ
ইউটিউব থেকে আয়ের কথা ভাবলেই প্রথমত গুগল এডসেন্স এর কথা মাথায় আসে। কেননা, ইউটিউব থেকে মূলত গুগল এডসেন্স থেকেই সবচেয়ে বেশি আয় হয়।তবে, গুগল এডসেন্স ছাড়াও ইউটিউব থেকে আয় করার আরও অনেক মাধ্যম আছে। ই্উটিউব থেকে আয়ের উৎস সমূহ হল, ১.গুগল এডসেন্স, ২.অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, ৩.স্পন্সরশিপ ইত্যাদি।
চলুন এবা ব্লগিং সম্পর্কে জানা যাকঃ-
ব্লগিং এর মাধ্যমে টাকা আয়
ইউটিউবে যেমন একজন ইউটিউবার বিভিন্ন ভিডিও তৈরী করে এবং সেটা ইউটিউবে শেয়ার করার মাধ্যমে টাকা আয় করেন। ব্লগিংও ঠিক তেমনই তবে, ব্লগিংয়ে বিভিন্ন আর্টিকেল লিখে সেটা শেয়ার করার মাধ্যমে আয় করা হয়। এবং যিনি এই আর্টিকেল লিখে শেয়ার করেন মানে ব্লগিং তাকে আমরা ব্লগার বলে থাকি।
অনেকেই হয়ত মনে করেন ব্লগিং অনেক জটিল কাজ। অনেকেই হয়ত ওয়েবসাইট এর কথা মনে করে কোডিং এর কথা চিন্তা করেই এটাকে জটিল মনে করেন। কিন্তু আপনি চাইলে কোডিং ছাড়াই ব্লগার বা ওয়ার্ডপ্রেস এর মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যে একটা ব্লগ সাইট তৈরী করতে পারবেন।
ব্লগিং থেকে যেভাবে টাকা আয় হয়
অনলাইন থেকে টাকা আয় করার মধ্যমগুলোর মধ্যে ব্লগিং সবচেয়ে সহজ ও জনপ্রিয় মাধ্যম। এবং ইউটিউবের চাইতে বেশি টাকা আয় হয়ে থাকে ব্লগিং থেকে। এবং ব্লগিংয়ে আয়ের উৎসও ইউটিউবের চাইতে বেশি।
ব্লগিং থেকে টাকা আয়ের উৎস সমূহ
ইউটিউবের মত ব্লগিংয়ে টাকা আয়ের প্রথম ও প্রধান উৎস হল গুগল এডসেন্স। কেননা, আমি আগেই বলেছি, গুগল এডসেন্স থেকে সবচেয়ে বেশি টাকা আয় হয়। এছাড়া ব্লগিং থেকে টাকা আয় করার আরও অনেক মাধ্যম আছে। ব্লগিং থেকে টাকা আয়ের উৎস সমূহ হলঃ ১. গুগল এডসেন্স, ২. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, ৩. গুগল এডসেন্স এর বিকল্প প্লাটফর্ম( midea.net,infolink, etc) ৪. সরাসরি এড প্লেস করা, ৫. স্পন্সরশিপ ইত্যাদি।
এতক্ষণ ব্লগিং ও ইউটিউব থেকে আয়ের মাধ্যম ও বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিয়ে আলোচনা করলাম। এখন চলুন দেখে নিই ইউটিউব এবং ব্লগিং এর ক্ষেত্রে কোন কার্যক্রম গুলো একইরকম হয়ঃ
ইউটিউব এবং ব্লগিং এর ক্ষেত্রে কোন বিষয় গুলো একইরকম
- ইউনিক কন্টেন্ট
যদিও ব্লগিংয়ে আর্টিকেল প্রকাশ করা হয় এবং ইউটিউবে ভিডিও যে কন্টেন্ট প্রকাশ করা হয় সেটি উভয় ক্ষেত্রেই ইউনিক হতে হবে। অর্থাৎ, ব্লগিং-এর ক্ষেত্রে আপনি যে আর্টিকেল লিখবেন সেটি অবশ্যই ইউনিক হবে হবে এবং ইউটিউব এর ক্ষেত্রেও একই নিয়ম আপনি যে ভিডিও প্রকাশ করবেন সেটি অবশ্যই ইউনিক ভিডিও হবে হবে। কোন প্রকার কপিরাইট আর্টিকেল বা ভিডিও প্রকাশ করা যাবে না।
- ধৈর্যও পরিশ্রম
পরিশ্রম ছাড়া কোন কাজেই সফলতা অর্জন করা সম্ভব নয়।আপনি ব্লগিং করেন বা ইউটিউবে ভিডিও শেয়ার করেন উভয় ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই পরিশ্রম করতে হবে।বং আপনি যদি ব্লগিং করেন তাহলে আপনাকে নিয়মিত আর্টিকেল প্রকাশ করতে হবে বা যদি ইউটিউবিং করেন তাহলে নিয়মিত ভিডিও প্রকাশ করতে হবে। পাশাপাশি আপনাকে সফলতার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। অর্থাৎ, আপনাকে ধৈর্যশীল হবে হবে। কেননা, সফলতা একদিনে আসে না এবং যারা সফল হয়েছেন তাদের কেউ রাতারাতি সফলতা পাননি সবাইকেই ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হয়েছে।
- রিসার্চ করা
অনলাইনে কাজ করে সফলতা পেতে হলে অবশ্যই আপনাকে রিসার্চ করতে হবে ব্লগিং বা ইউটিউব উভয় ক্ষেত্রেই। নতুন নতুন কৌশল আবিষ্কার করতে হবে। যেমন-তেমন করে একটি আর্টিকেল লিখে বা একটি ভিডিও তৈরী করে সেটি শেয়ার করলে তাতে কোন লাভ হবে না। এভাবে আপনি ইউটিউব বা ব্লগিং কোনটিতেই ক্যারিযার গড়তে পারবেন না। আপনি আপনার কন্টেন্ট যত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারবেন, আপনার ব্লগ বা ইউটিউব ততবেশি জনপ্রিয় হবে এবং আয়ও ততবেশি হবে।
- সামান্য ইনভেস্ট করা
আপনি হয়ত মোবাইল দিয়ে ইউটিউব এর জন্য ভিডিও তৈরী করতে পারবেন এবং blogger.com ফ্রিতে একটি ব্লগিং ওয়েবসাইট তৈরী করতে পারবেন। জনপ্রিয় বা প্রফেশনাল হওয়ার জন্য আপনার অবশ্যই ইউটিউব এর জন্য প্রফেশনাল ভিডিও তৈরী করতে যে উপকরণ গুলো প্রয়োজন হয় যেমন, লাইট, ক্যামেরা,মাইক ইত্যাদি কিনতে হবে। অন্যদিকে ব্লগিং এর ক্ষেত্রে আপনার একটি ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনতে হবে।
ইউটিউব এবং ব্লগিং এর মধ্যে পার্থক্য
ইউটিউব এবং এবং ব্লগিং এর মধ্যে যেমন বিভিন্ন বিষয় মিল রয়েছে তেমনি অনেক পার্থক্যও রয়েছে। ইউটিউব এবং ব্লগিং এর মধ্যে পার্থক্য সমূহঃ
- ব্লগিং করার জন্য আপনার অবশ্যই ডোমেইন-হোস্টিং কিনতে হবে। কিন্তু ইউটিউব-এর ক্ষেত্রে আপনার কোন ডোমেইন-হোস্টিং কিনতে হবে না। অর্থাৎ ইউটিউব-এর ক্ষেত্রে আপনার ডোমেইন-হোস্টিং সংক্রান্ত কোন অর্থ খরচ হবে না। তবে, ইউটিউব ভিডিও তৈরী করার জন্য যে উপকরণগুলো প্রয়োজন সেগুলো কিনতে হবে বা ব্লগিং এর জন্য কিনতে হবে না।
- ব্লগিং-এ আপনি যেকোন রিসোর্স যেমন, আর্টিকেল,অডিও,ভিডিও,ছবি ইত্যাদি আপলোড করতে পারবেন। কিন্তু ইউটিউবে ভিডিও ছাড়া অন্য কোন রিসোর্স আপলোড করা যায় না।
- একটি ব্লগিং ওয়েবসাইট আপনি আপনার পছন্দমত ডিজাইনও অপটিমাইজ করতে পারবেন। কিন্তু ইউটিউবে সেটি করা যায় না। অবশ্য প্রয়োজনই হয় না।
- ব্লগিং-এর ক্ষেত্রে ওয়েবসাইট এবং এবং কন্টেন্ট সবকিছুর মালিক আপনি নিজেই এবং আপনার নিজের ইচ্ছেমত সেটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। অন্যদিকে ইউটিউব এর মালিক গুগল এবং গুগল ইউটিউব নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। আপনি শুধুমাত্র আপনার কন্টেন্ট এর মালিক এবং আপনি যদি ইউটিউব-এর নীতিমালা না মানেন তাহলে ইউটিউব চাইলে আপনার চ্যানেল বন্ধ করে দিতে পারবে।
- ব্লগিং-এর ক্ষেত্রে আয়ের মাধ্যম বা উৎস বেশি। আপনি চাইলে এডসেন্স ছাড়াও সরাসরি কোন কোম্পানীর বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয় করতে পারবেন। অন্যদিকে ইউটিউবে আয়ের উৎস তুলনামূলক কম।
- ব্লগিং ওয়েবসাইট ডিজাইন করা এবং ম্যানেজ করা কিছুটা জটিল। অন্যদিকে ইউটিউবের ক্ষেত্রে এই ধরনের ডিজাইন করার প্রয়োজন হয় না এবং চ্যানেল ম্যানেজ করা একদমই সহজ। তবে আপনার অবশ্যই ভিডিও এডিটিং সংক্রান্ত পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকতে হবে।
ইউটিউব নাকি ব্লগিং কোনটিবে বেশি আয় হয়
আমি আগেই বলেছি, ইউটিউবের চাইতে ব্লগিংয়ে আয়ের উৎস বেশি। আবার অন্যদিকে টাকা আয়ের ক্ষেত্রে ইউটিউব অনেক বেশি সহজ ও জনপ্রিয় মাধ্যম। অর্থাৎ কোনটিতে আয় বেশি হবে সেটি সম্পূর্ন নির্ভর করে আপনি কোন প্লাটফর্ম-এ কন্টেন্ট তৈরী করতে বেশি দক্ষতা রাখেন।
ব্লগিং নাকি ইউটিউব আপনার জন্য কোনটি ভাল বা লাভজনক হবে
প্রকৃত অর্থে, সবাই তো সব কিছুতেই সাচ্ছন্দবোধ করে না বা পারদর্শী নয়।যেমন, একজন আর্টিকেল লেখা বা ব্লগিং-এ বেশি পারদর্শী বা বেশি সাচ্ছন্দবোধ করেন। অপরদিকে অন্যজন ইউটিউবিং টাই বেশি উপভোগ করেন। সুতরাং ইউটিউব নাকি ব্লগিং কোনটি আপনার জন্য লাভজনক হবে বা আপনি কোনটি শুরু করবেন সেটার সিদ্ধান্ত এই পোস্টটি পড়ার পর আপনি নিজেই নিতে পারবেন বলে আশাকরছি। তবে,আপনার যদি পর্যাপ্ত পরিশ্রম করার ক্ষমতা এবং সময় থাকে তবে আপনি ব্লগিং এবং ইউটিউবিং দুটোই সেক্ষেত্রে আপনার আয়ের পরিমাণটাও বেশি হবে।
আজকের মত এ পর্যন্তই ছিল, আশাকরি পোস্টটি পড়ে আপনি ইউটিউব এবং ব্লগিং এর পার্থক্য এবং আপনার জন্য ইউটিউব নাকি ব্লগিং কোনটি বেশি লাভজনক হবে সেটি বুঝতে পেরেছেন। তবে, আমার মতামত অনুসারে ব্লগিং-ই বেস্ট , সহজ এবং লাভজনক।
পোস্টটি সম্পর্কে আপনার কোন মন্তব্য থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিন এবং যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে শেয়ার করে অন্যদের জানাতে ভুলবেন না।
নতুন নতুন তথ্য এবং টিপসওট্রিকস পেতে আমাদের ব্লগটি নিয়মিত ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।