বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে ইন্টারনেট ব্যবহার করে না এমন লোক নাই বললেই চলে। কোন কিছু সম্পর্কে জানার ইচ্ছে হলেই আমরা ইন্টারনেট এর সাহায্য নেই । ইন্টারনেটের সাহায্যে গুগলে বা ইউটিউব এ সার্চ দিয়েই আমরা অনেক কিছু জানতে পারি । আমাদের পছন্টমত মুভি, গান বা ভিডিও দেখতে পারি ও ডাউনলোড করতে পারি। এবং আমরা বর্তামানে এই যে ইন্টারনেট ব্যবহার করি এর পিছনে সম্পূর্ন অপটিক্যাল ফাইবারএর অবদান। বন্ধরা আমরা যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করি, আমরা প্রায় সকলেই হয়ত অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল সম্পর্কে কমবেশি জানি, হয়ত অনেকেই নাম শুনেছি কিন্তু এ সম্পর্কে ভাল জ্ঞান নেই। আবার অনেকেই হয়ত অপটিক্যাল ফাইবার সাহায্যে ইন্টারনেট বা ডেটা ব্যবহার করছেন কিন্তু,অপটিক্যাল ফাইবার সম্পর্কে কিছুই জানেন না।দ্রুতগতির ইন্টারনেট ভাবতেই আমাদের মাথায় চলে আসে অপটিক্যাল ফাইবার এর কথা অপটিক্যাল ফাইবার কি? এবং ডেটা ট্রান্সমিশনে এর গুরুত্ব বিস্তারিত জানুনঃ
আরও পড়ুনঃ
অপটিক্যাল ফাইবার কি?
অপটিক্যাল ফাইবার (Optical Fiber) সচ্ছ আবরণ দ্বারা পরিবেষ্টিত। এটি এক ধরণের পাতলা বা সচ্ছ সিলিকা ( কাচ) বা প্লাষ্টিক দ্বারা তৈরী করা হয়। যা অলো বা তথ্য পরিবহনে ব্যবহৃত হয় এবং লম্বা দূরত্বে অসংখ্য বা বিপুল পরিমান আলো বা তথ্য পরিবহন করতে সক্ষম। এছাড়া অপটিক্যাল ফাইবার তড়িৎ চম্বুকীয় প্রভাব মুক্ত, যার ফলে অপটিক্যাল ফাইবারে আলো বা তথ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে ক্ষয় ক্ষতির পরিমান কম হয়। সাধারণত টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় অপটিক্যাল ফাইবার। এছাড়া সেন্সর বা ছবি এবং আলোকসজ্জা সহ অনেক ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় ।
অপটিক্যাল ফাইবার-এর ইতিহাস
নলের মধ্য দিয়ে প্রতিবিম্ব প্রেরণের পদ্ধতি ১৯২০ সালে রেডিও নিরীক্ষক ক্ল্যারেন্স হ্যানসেল ও টেলিভিশন পাইওনিয়ার জন লজি বেয়ার্ড প্রথমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যবহার করেন । ১৯ শতকের শেষ ও ২০ শতকের শুরুর দিকে বাঁকানো কাঁচনলকে আলোক সঞ্চারক রূপে ব্যবহার করা হতো দেহাভ্যন্তরকে আলোকিত করার কাজে এবং বিশ শতকের শুরুর দিকে দাঁতের চিকিৎসায় মুখাভ্যান্তরভাগ আলোকিত করার কাজে সরু কাঁচনলের ব্যবহার শুরু হয় । ১৯৩০ সালে, হেনরিখ ল্যাম দেখান যে, আনল্যাড অপটিকাল ফাইবারগুলির একটি বান্ডিলের মাধ্যমে আলোক চিত্রগুলি সঞ্চারিত করতে পারে এবং তিনি এটি অভ্যন্তরীণ চিকিৎসা পরীক্ষার জন্য ব্যবহার করেন। এবং তাঁর কাজটি পরবির্তীতে বিস্মৃত হয়ে গিয়েছিল।
প্যারিসে, জ্যাকিস বেবিনেট এবং ডেনিয়েল কোলাডন সর্বপ্রথম অপটিক্যাল ফাইবারের ধারণা আবিষ্কার করেন ১৮৪০ সালে। ১৯৫২ সালে লণ্ডনে জন টিন্ডাল এ বিষয়ে তার ধারনা সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন।১৮৭০ সালে টিণ্ডাল তাঁর আলোর ধর্ম সম্পর্কিত একটি বইয়ে আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন বিষয়ে আলোকপাত করেন।
ফাইবারে রং করার মেশিন এবং এর সুবিধা
ফাইবারে রং করার মেশিন বলতে মূলত ফাইবার গুলোতে বং করার জন্য যে মেশিন ব্যবহার করা হয় সেটাকে বুঝায়। ফাইবারে রং করার মেশিন খুবিই গুরুত্বপূর্ণ । কেনন না, অপটিক্যাল ফাইবার এর কোন ক্যাবল টি ডাটা ইনপুট এবং কোনা ক্যাবলটি আউটপুট সেটা ফাইবারে রং এর মাধ্যমে নির্দেশ করা হয়।
অপটিক্যাল ফাইবারে রং করা সহজ কাজ নয়। এটি একটি বিশেষ মেশিনের সাহায্যে করা হয় এবং এই মেশিটি খুবিই সুক্ষভাবেও নির্ভুলভানে ফাইবারে রং করে থাকে। এবং পরবর্তীতে এটি প্রুফ টেস্টিং মেশিনের সাহায্যে প্রুফ টেস্টিংও করা হয়। এই মেশিনগুলি একটি তারের গুণগতমানের পরীক্ষার জন্য সহায়তা করে যা গ্রাহককে সর্বোত্তম মানের পণ্য সরবরাহ করতে অবশ্যই একটি দুর্দান্ত পরিমাণে সহায়তা করে।
অপটিক্যাল ফাইবার ডেটা ট্রান্সমিশনে বিপ্লব ঘটায়
অপটিক ফাইবার প্রকৃতপক্ষে ডেটা ট্রান্সমিশনের পদ্ধতিতে ব্যাপক পরিবর্তন করেছে এবং ডেটা ট্রান্সমিশনের পদ্ধতিতে নতুন যুগের জন্ম দিয়েছে। ডেটা ইনপুট এবং আউটপুট প্রায় ১০০% দক্ষতা মানুষের জীবনে একটি অলৌকিক ক্ষমতার চেয়ে কম কিছু নয়। আমরা হয়ত বুঝতেই পারিনা যে আমাদের এই দ্রুত এবং সহজ ডেটা সংক্রমণ সরবরাহ করা হয়েছে এর পিছনে একটি বিশাল নেটওয়ার্ক এবং শিল্প রয়েছে। অপটিক ফাইবারগুলির ডেটা সুরক্ষা এবং কমপ্যাক্টনেসটি অতুলনীয়। এবং এটি অর্জন করতে কয়েক বছরের অগ্রগতি এবং পর্দার পিছনে থাকা বহু লোক লেগেছিল। এটি যেভাবে মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করছে, এটি বলে শেষ করা যায় না যে ,এটি সত্যিকার অর্থে ডেটা ট্রান্সমিশনে বিপ্লব ঘটিয়েছে এবং মানুষের জীবনযাত্রায় কতক্ষানি পরিবর্তন করেছে।
অপটিক্যাল ফাইবারের তার মূলত সচ্ছ কাচ (সিলিকা) দ্বারা তৈরী করা হয় এবং অপটিক্যাল ফাইবার তামা সিস্টেমের তুলনায় উচ্চ মানের ট্রান্সমিশন প্রদান করতে সক্ষম ।
excellent
very informative..man.nicely explained optical fiber
খুব তথ্যপূর্ণ..মানুষ।
অপটিকাল ফাইবার সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা
তথ্যমূলক এবং শিক্ষামূলক
এই বিষয়টি ভালভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে এবং অপটিক্যাল ফাইবার সম্পর্কে আরও জ্ঞান দেয় ..